কে জানে কখন কেটেছে তোমার স্বপ্নমুগ্ধ রাত,আজকে কঠিন ঝড়ের বাতাসে দ্বারে করে কশাঘাত
যাত্রী তার সময় নষ্ট হওয়ায় এমনিতেই রেগে আছেন। তার উপর চালকের কাছ থেকে নতূন আরেকজন যাত্রী নেয়ার কথা শুনে রেগেমেগে আগুন হয়ে গেলেন।
তবে তার ভাব দেখে মনে হলো না যে তিনি নতূন কোন যাত্রী গাড়ীতে উঠতে দেখ্ছেন। কিছু না বলে যাত্রী বেচারা চুপ করে রইলেন।
সামনের আগন্তক যাত্রী নিঃসংকোচে চালককে বলতে লাগলেন, "আমি আজরাইল - মউতের ফিরিশতা, যমদূত! তুমি ছাড়া ঐলোক আমাকে দেখতে পাচ্ছেনা।
সুতরাং তার কথা গায়ে না মেখে চলতে থাকো। "
এবার কম্পিত ট্যাক্সি চালক পেছনে যাত্রীর দিকে একনজর তাকিয়ে দেখলেন এবং তাঁর মনে হলো সত্যিই ঐলোক তার পাশে বসা আজরাইলকে দেখতে পাচ্ছেনা। কারন সে তাদের দুজনের আজরাইলী কথাবার্তার মাঝেও নির্বিকার ভংগিতে বসে আছে; মনে হয় কোন কথাই তিনি শোনেননি। এতে করে চালকের মাঝে দৃঢ প্রত্যয় জন্মাল যে ইনি নিশ্চয়ই আজরাইল!
এদিকে ট্যাক্সি চালককে আজরাইল রাখঢাক না করে সরাসরি বলে ফেললেন, আজই তাঁর মউত। সময় নেই, একটু পরেই তাঁর প্রিয় জানটিকে কবচ্ করে নেয়া হবে।
ক্ষণিক পর পথে তাদের সামনে পড়লো এক মসজিদ। আজরাইল তখন বললেন, "দেখ, একটু পরেই তো তোমার মউত, তাই তার আগেই আসরের নামাজটা সেরে নাও। " উল্লেখ্য তখন ছিল আসরের সময়।
বেচারা ক্যাবী নিশ্চিত মউতের আগে খোদার বন্দেগীর এ সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইলেন না। পেছনের যাত্রীকে কোনমতে রাজী করিয়ে তিনি গাড়ী পার্ক করে মসজিদে গেলেন ।
মিনিট দশেক পর ট্যাক্সি চালক ফিরে এসে দেখেন আজরাইলরুপী চোরটি তাঁর জান নিয়ে নয় বরং অন্য যাত্রীসহ তাঁর অতি
কষ্টের টাকায় কেনা পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস প্রিয় গাড়ীটি নিয়েই কেটে পড়েছে।
যমদূত আজরাইলের মুখোশ ধারণ করে ছিচ্কে চোর একটি ট্যাক্সি ক্যাব নিয়েই হয়তো সন্তুষ্ট ছিল, কিন্ত সত্যিকারের আজরাইল যদি কারজাইয়ের বেশে উড়ে এসে গোটা দেশটাকে নিয়ে কেটে পড়ে, এবার পলিটিশিয়ানরা শুধু নয় গোটা জাতিকে সাথে করে আমাদের সবারই জায়নামাযে বসে তসবীহ জপা ছাড়া করার কিছুই আর থাকবে না
*আমার এ লেখাটি দৈনিক যায়যায়দিন ছেপেছে
ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।