আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক আহত ব্লগারের সুস্থতা কামনায় একটু দোআ করবেন !

নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .

যদিও আজ বৃহসপ্রতিবার তবু ব্যস্ততা অন্যদিনের তুলনায় কম নয় বরঞ্চ আরো বেশীই মনে হয়, পুরো সপ্তাহের শেষ দিন, সমস্ত পেপারের ডেলিভারী, মেইল কনফারমেশন চেক, সামনের সপ্তাহের এপোয়েন্টমেন্ট লিস্ট রেডী করা, ব্যস্ততার আর শেষ থাকেনা। আমাদের কোন হাফ অফিস নেই তারপরেও অফিসের ঝক্কি লেগেই থাকে। অন্যদিনের তুলনায় আজ সব কাজেই একটু দেরী হয়ে গেল। যোহরের নামাজ পড়ব। অযু করতে হবে ওয়াশরুমে গিয়েছি।

অফিসের সবাই বেসিনেই ওযু করি, এমনকি যখন পা দুটো ধৌত করা হয় তখনও বেসিনের উপর পা তুলে দেয়া হয়। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি, ওযুর প্রত্যেক অঙ্গের ধৌত কার্যক্রম শেষ করে যখন পা পর্বে এসেছি তখন ঘটল বিপত্তিটা। পাশে দাড়িয়ে কলিগের সাথে কথা বলছি আর ওযু করছি। যখন পা ধুচ্ছি, : ভাইয়া একটু দেখে পা উঠাবেন, স্লিপ কেটে গেলে কিন্তু বিপদ হবে - আরে না না ! এভাবেই তো এই বেসিনে ৩ বছর কাটিয়ে দিলাম, কোনদিনও তো হয়নি : তারপরেও দেখবেন, সাবধানের মার নেই - রাখ তোমার সাবধান, এটানো তো একরকম অভ্যাসই হয়ে গিয়েছে! বলেই যেই না পা উঠিয়েছি ওমনি পা-টা ভেজা ফ্লোরে পিছলে গেল, যা হবার তাই আমি আছড়ে পড়ে গেলাম। ধপাস করে বিরাটা শব্দ হল।

মনে হল পা ভেঙ্গেই গেছে, ব্যাথায় কাতরাচ্ছি, আর পাশে থাকা কলিগটি মিটিমিটি হাসতে হাসতে বের হয়ে গেল। রাগে গা জ্বলছিল। ছেলেটি মিনিট কয়েকের মধ্যে পুরো অফিসে নিউজটি ছড়িয়ে দিল। আমি এদিকে ব্যথায় মরি আর ওদিকে সবাই মুখ চেপে হাসছে। সবাই যেভাবে দেখছে যেন মনে হয় নতুন কোন জামাই বাবু এসেছে।

পা ব্যথার চেয়ে রাগে শরীরটাই জ্বলতে লাগল। পা পুরো ভাঙ্গেনি, মচকে গিয়েছে। বস বলে দিলেন ব্যাথা কমলে বাসায় যেতে, তার আগের পুরো সময় অফিসে রেষ্ট নিতে, কোন কাজ করতেও নিষেধ করলেন। ওক্কে, কি আর করার এক চেয়ারের উপর পা সোজা করে ঠেকিয়ে দিয়ে, অলস সময় পার করার চেয়ে বসে বসে ব্লগিং করছি। তাই দোআ চাচ্ছি, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যেন বাসায় ফিরতে পারি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।