আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লুত (আএর সময়কার অন্যতম ঘটনা



লুত (আছিলেন হযরত ইব্রাহীম(আএর ভ্রাতুষ্পুএ। আল্লাহ সুবহানাতাআলা তাকে নবুয়ত দান করে জর্ডান ও বায়তুল মোকাদ্দাসের মধ্যবর্তী সাদূমের অধিবাসীদের পথ প্রদর্শনের জন্য প্রেরণ করেন। এখানকার ভূমি ছিল উর্বর ও সর্বপ্রকার শস্য ও ফলের প্রচুর্য ছিল। তারা ধনৈশ্বর্যের নেশায় মত্ত হয়ে বিলাস-ব্যসন,কাম প্রবৃত্তি ও লোভ লালসার জালে এমনভবে আবদ্ব হয়ে পড়ে যে,ভাল মন্দ,লজ্জা শরমের পার্থক্যও ভূলে যায়। তারা ছিল সমকামীতে বিশ্বাসী।

পবিএ কোরআনে যিনা তথা ব্যভিচার এর চাইতেও এহেন কাজকে কঠোর অপরাধ বলা হয়েছে। সুরা আরাফের ৮০ ও ৮১ নং আয়াতে বলা হয়েছে:এবং আমি লুতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল:তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ,যা তোমাদের আগে সারা বিশ্বের কেউ করেনি?তোমরা তো কামবশত: পুরুষদের কাছে গমণ কর নারীদের ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা ছাড়িয়েছ। এর জবাবে তারা পরষ্পর বলাবলি করতে লাগল:এরা বড় পবিএ ও পরিছন্ন বলে দাবী করে।

এদের চিকিত্সা এই যে,এদের বস্তি থেকে বের করে দাও। পরিস্হিতি এমন দাড়িয়ে ছিল যে,লুত(আও তার ২টি কন্যা ছাড়া কেউ মুসলমান ছিল না। শেষে আল্লাহর শাস্তি তাদের জন্য অবধারিত হলো এভাবে-ফেরেশতারা প্রথমে মানব আকৃতিতে লুত(আএর গৃহে যান ও তার কন্যাদের সালাম দেন ও বলেন:আমরা বিদেশী মুসাফির ও আজ রাত এখানে থাকতে চাই। লুত(আইবাদতে ব্যস্ত ছিলেন। ইবাদত শেষে তিনি দেখলেন,বার জন কম বয়সী দাড়িবিহীন সুদর্শন যুবক অপেক্ষমাণ।

এবার তিনি শংকিত হলেন,আল্লাহ না করুন,এ সম্পরদায়ের লোকেরা যদি মেহমানদের সাথে অশোভন কোন আচরণ করে বসে!সুরা হুদে ৭৭-৭৮ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন:’’এবং আমার প্রেরিত ফেরেশতা লুতের নিকট পৌছিল,তাদের আগমনে তিনি শংকিত,বললেন,আজকের দিনটি বড়ই কঠিন ও লুতের কওম হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে তাদের কাছে এল,এরা পূর্ব থেকেই দুষ্কর্র্মশীল কওম। ’’ লুত (আএর বধু ছিল কাফের। সে কওমের কাছে এই মেহমানদের সংবাদ জানিয়ে দিয়েছিল। যথারীতি ওরা হাজির হল ও মেহমানদেরকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবী করল। লুত(আযখন দেখলেন,তাদেরকে প্রতিরোধ করা দুষ্কর তখন তিনি সর্দারদের নিকট স্বীয় কন্যাদের বিবাহের প্রস্তাব দেন ও আল্লাহকে ভয় করতে বলেন।

কিন্ত তারা মেহমানদেরই দাবী করল। পাপিষ্ঠরা দেয়াল টপকে ভিতরে প্রবেশ ও কপাট ভাংতে যখন উদোগী হল তখন ফেরেশতারা তাদের আসল পরিচয় প্রকাশ করলেন লুত (আএর কাছে এবং দরজা খুলে দিতে বললেন। হযরত জীবরাঈল(আতার পাখার ঝাপতা দিলেন। ফলে ওরা অন্ধ হয়ে গেল ও ভাগতে লাগল। তখন ফেরেস্তাগণ আল্লাহর নির্দেশে লুত(আকে বললেন-আপনি কিছুটা রাত থাকতে লোকজনসহ এখান থেকে অন্যএ সরে যান ও সবাইকে সতর্ক করে দেন যে,তাদের কেউ যেন পিছনে না তাকায়,তবে আপনার নিজ বধু ব্যতীত।

কারণ অন্যদের মত তাকেও আযাব গ্রাস করবে। সুরা হিজরের আয়াতে এ আযাবের বর্ণনার পুর্বে বল হয়েছে:সুর্যোদয়ের সময় বিকট নাদ তাদেরকে পাকরাও করল। সুরা হুদে ৮২-৮৩নং এ বলা হয়েছে:যখন আমার আযাব এসে গেল,তখন আমি বস্তিটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের উপর স্তরে স্তরে প্রস্তর বর্ষণ করলাম যা আপনার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নযুক্ত ছিল। সে বসতিটা এ কাফেরদের থেকে বেশীদুরে নয়। তফসিরকারীরা বলেন:প্রত্যেক পাথরে ঐ ব্যক্তির নাম লিখিত ছিল,যাকে খতম করার জন্যে পাথরটি নিক্ষিপ্ত হয়েছিল।

বর্ণিত আছে,জীবরাইল(আতার পাখা যমীনের তলদেশে প্রবিষ্ট করত এমনভাবে মহাশুন্যে উত্তোলন করলেন যে,সবকিছু নিজ নিজ স্হানে স্হির ছিল। এমনকি পানি ভর্তি পাএ হতে এক বিন্দু পানিও পড়ল না। তখন পশু ও মানুষের বিকট ধ্বনি ভেসে আসছিল। তারপর ঐসব জনপদকে উল্টিয়ে যথাস্হানে নিক্ষেপ করা হল। (পৃষ্টা নং৬৪০)সুরা আরাফে ৮৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন:অতএব দেখ,গোনাগারদের পরিণতি কেমন হয়েছে।

’’ আজও এ ভুখন্ডটি লুত সাগর বা ডেড সী বা মৃত সাগর নামে পরিচিত। এর ভুভাগ সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অনেক নীচে অবস্হিত। এর একটি বিশেষ অংশে নদীর আকারে আশ্চর্য ধরণের পানি বিদ্যমান। এ পানিতে কোন মাছ,ব্যাঙ জীবিত থাকতে পারে না। এমনকি কোন মানুষ সেই পানিতে ডুবেও না, বরং ভাসতে থকে।

চোখে পড়ল আরও একটি নতুন ফোরম। সময় পেলে ঘুরে আসুন: http://www.esogori.forum5.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।