যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
দুই সাধু গুরুর কাছে সিদ্ধিলাভের পর নিজেদের পথ খুঁজতে রওয়ানা হইছে। গুরুর অনেক শিক্ষার একটা ছিল 'সাবধান, কোনদিন নারীদেহ স্পর্শ করবিনা, তাহলে সিদ্ধি নষ্ট হয়ে যাবে। '
তো, দুই সাধু হাঁটতে হাঁটতে এক খালের পাড়ে আসল, খালে হাঁটুপানি, এসে দেখে অপরূপ সুন্দরী এক বিলিতি মেয়ে খালের একই পাড়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। সাধুদের একজন মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করল, 'মা জননী, আপনি কাঁদেন কেন?'
মেয়েটি বলল, খালের ওপারে তার বান্ধবীর জন্মদিনের পার্টি। যেজন্য সে দামী একটা ড্রেস পরে এসেছে, এখন খাল পেরুলে তার ড্রেস ভিজে যাবে।
এদিকে কোন নৌকাও সে দেখছেনা।
সব শুনে সাধু বলল, 'ঠিক আছে আমি তোমাকে পার করে দেব। '
সাধু মেয়েটাকে কোলে করে তুলে নিয়ে খালের ঐপাশে নিয়ে গেল। মেয়েটা খুশীমনে বান্ধবীর বাসার দিকে দৌড়াতে লাগল। দুই সাধু আবার পথ ধরে হাঁটা শু করল।
ঘন্টা দুয়েক পরে আরেকজন সাধু মিনমিনিয়ে বলল, 'আচ্ছা তুমি যে ঐ মেয়েটাকে স্পর্শ করলে, কিন্তু গুরুর তো মানা ছিল নারীদেহ স্পর্শ না করার! কাজটা কি তুমি ঠিক করলে?'
শুনে প্রথম সাধু বলল, 'বন্ধু, মেয়েটাকে তো আমি নদীর ঐ পাড়েই রেখে এসেছিলাম, তুমি দেখি তাকে এখনও বয়ে বেড়াচ্ছ?'
মোরাল: পাপ কি সবসময় দেখা যায়?
**********************************************
অমিপিয়াল না জেনে নবীর নামে আঁকা কার্টুন নিজের ব্লগে ব্যবহার করেছেন, যেই শুনলেন (ইবনে সালামের পোস্টে) সেটা নবীর কার্টুন, উনি সেটাকে সরিয়ে নিলেন। উনি সেটাকে বহন করেছেন মাত্র ৪/৫ মিনিট (ঝরাপাতার পোস্টের মাধ্যমে জানলাম)
আর কয়েকজন মজা লুটার জন্য, প্যাঁচ লাগানোর জন্য, জামাতের বিরোধীতা করার প্রতিশোধ নেবার জন্য কোনভাবেই সেই কার্টুনটাকে মাথা থেকে নামাতে পারলেননা। তারা সেটার স্ক্রীন শট তুলে নিজের ব্লগে লটকে রাখলেন, সেই কার্টুনের উপর লালরং মেখে তা ব্যবহার করলেন একজন নিরপরাধ মানুষকে অপবাদ দিতে, পোস্টের পর পোস্ট দিলেন ত্যানা পেঁচিয়ে; কার্টুনটাকে তারা বহন করেই চললেন।
ওহে গুরু, সামহোয়ার কর্তৃপক্ষ/মডুরামেরা, তোমরা কি আসলেই পাপের সংজ্ঞা বোঝনা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।