আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছহি হাসিনা নামা-৪ (জননেত্রী থেকে দুর্জননেত্রী)



১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়ে শেখ হাসিনা সম্পূর্ণভাবে বদলে যেতে থাকেন। তিনি এতটাই লোভী হয়ে উঠেন যে গণভবন পর্যন্ত দখল করে নেন। হরতাল অবরোধের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টকরণ, স্থল ও নৌ বন্দর ব করে দিয়ে দেশের আমদানী রফতানী বাণিজ্যে স্থবিরতার সৃষ্টি, ট্রেনে অগ্নি সংযোগ, গার্মেন্টস শিল্পে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ এবং দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিঘ্নিতকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে তাদের দলের প্রকাশ্য ও গোপন ততপরতার কথাও তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। জনাব আবদুর জলিল একজন সম্মানিত ব্যক্তি, ঝানু রাজনীতিবিদ এবং একজন সাবেক মন্ত্রী। তাকে দেশবাসী একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও জানে।

স্বাভাবিকভাবেই তার কথার ওজন থাকার কথা এবং তিনি যা বলেছেন নিশ্চয়ই জেনে শুনে বলেছেন। তার স্বীকারোক্তিতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার নেতা নেত্রীদের যে বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে তা বেদনাদায়ক এবং লোমহর্ষক। তার কথা যদি সত্য হয় তা হলে এই দলটি তার নেতা নেত্রীদের (যার মধ্যে দীর্ঘকাল পর্যন্ত তিনি নিজেও অন্তভুক্ত ছিলেন) কোনও দেশপ্রেম নেই, তারা লোভ লালসা তাড়িত, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষ হত্যা এমনকি দেশকে ধ্বংসও যদি করতে হয়, তা করতে তাদের কোনও দ্বিধা নেই, আবার এই দলের যিনি প্রধান তার যেমন চরিত্র নেই, জবাবদিহিতাও নেই। পার্টি প্রধানের পরই পার্টি সেক্রেটারীর স্থান। তিনি বাস্তব অর্থে দলের নির্বাহী প্রধানও।

জনাব জলিল বলেছেন যে তিনি শেখ হাসিনার কতৃত্ববাদী ও একনায়কতান্ত্রিক আচরণের কারণে স্বাধীনভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। দলের অন্যান্য দুষ্কর্মের ন্যায় কর্মীদের হাতে লগি-বৈঠা তুলে দিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি, পিটিয়ে মানুষ হত্যা প্রভৃতিও নেত্রীর একক সিদ্ধান্তে হয়েছে। অর্থাত খুন রাহাজানি ও দেশব্যাপী ফেতনা সৃষ্টির জন্যও তিনি দায়ী। দল তার হুকুম পালন করেছে এবং এই অপকর্মের সাথে জড়িত হয়ে অপরাধ করেছে । আবদুল জলিল, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এদের সকলের সুরই ছিল এক এবং অভিন্ন।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।