চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
কোন এক এশিয়ান টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ জাতীয় দল জাপানে এসেছিল ফুটবল খেলতে। জাপানের জাতীয় দলের সাথে যেদিন খেলা ছিল তার আগের দিন জাপানী পত্রিকায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের উপর প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। লেখা হল বাংলাদেশী খেলোয়াড়েরা দীর্ঘাঙি (কাউসার হামিদেরা তখন খেলতেন) এবং বেশ কৌশলী। প্রতিদন্ধীতার আশা করা হল। খেলার দিন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী খেলা দেখতে মাঠে গেলেন, অনেকে আবার জাপানী বউ সহ।
ব্যস্ততার কারনে মাঠে যাওয়া হয়নি আমার। পরের দিন বন্ধুদের কাছে জানতে পারলাম সবমিলিয়ে আটটি গোল হজম করতে হয়েছিল সেদিন বাংলাদেশকে। বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল ঐসব বাংলাদেশীদের যারা জাপানী বউ সহ খেলা দেখতে মাঠে
গিয়েছিলেন, লজ্জায় হাফটাইমের পর পর গ্যালারী থেকে পালিয়েছিলেন ওনার বউ সহ। ঐদিন রাত্রে আবার ট্যাক্সি ক্যাব করে কর্মক্ষেত্র থেকে বাসায় ফিরছি। পরিচিত ট্যাক্সি চালক খেলার প্রসংগ তুলে হাসতে হাসতে বলল, তোমাদর গোল রক্ষককে দেখে মনে হচ্ছিল বল ধরাতে ভদ্রলোকের তেমন কোন আগ্রহ নেই।
মান বাচাতে বললাম এটা জাতীয় দল হলেও পেশাদার খেলোয়াড়রা খেলতে আসেননি। এসেছেন অপেশাদার খেলোয়াড়রা।
কৈশোরে আমি মোহামেডানের সমর্থক ছিলাম। মোহামেডানে হারলে দিনটাই আমার মাটি হত। দেশে ফেরার পর আমি আর মোহামেডান আবাহনীর খেলা আর দেখিনা।
বিদেশে খেলতে আসা বাংলাদেশী খেলোয়াড়েরা বিদেশে খেলার চাইতে মার্কেটিংগের প্রতি বেশী মনোযোগী হন, এ ধরনের অভিযোগের পর, দল নিয়ে এত উন্মাদনার আর সুযোগ থাকেনা।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো নিয়েও দেশে আমাদের মাঝে যে বিভিন্ন ধরনের উন্মাদনা পরিলক্ষিত হয়, দেশের বাইরে আমাদের দেশের যে দীন এবং হীন চেহারা, তা দেখার সুযোগ ঘটলে তার অনেকটাই প্রশমিত হত বলে আমার মনে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।