এখনকার ছেলেপিলেরা কি অশৈলী কান্ডকারখানাই না শুরু করেছে। কি অন্যায় কি অন্যায় বলুনতো দেখি। কবিগুরুর গানের বিকৃতি! ছিঃ ছিঃ ছিঃ, একি সহ্য করা যায়। নাহ্ এযুগের সব তরুণই একেবারে বখে গেছে দেখছি। ছিঃ ছিঃ ছিঃ. . . . .
রবীন্দ্রনাথের গান মানেই অন্যরকম একটা আমেজ।
পুরোপুরি ভিন্ন মাত্রার কিছু। আমাদের দেশে এগানের সমঝদার অনেকেই আছন। তবে এটা ঠিক তরুন সমাজের বড় একটা অংশ এ সুধা পানে আগ্রহী নন। অভিযোগ গানগুলো ঢিমেতালের মানে একটু ধীরলয়ের আরকি। আবার অনেকে বলেন তরুণ সমাজের নাকি রবীন্দ্রসঙ্গীতের অন্তর্নিহিত গূঢ় অর্থ বোঝার আগ্রহ নেই বা ক্ষমতাই নেই।
তবে আমি একথা বিশ্বাস করিনা।
উঠতি বয়সে সবাই একটু তালের গান পছন্দ করলেও তারা ধীর লয়ের গান যাকে বলে স্লো-ট্র্যাক সেটাই বেশী পছন্দ করেন। আর আমাদের দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীতের গূঢ় অর্থ উদ্ধারে ব্যর্থ লোক খুঁজে পাওয়া ভার। আর তা এমন শক্ত কিছুও নয়। তাহলে এই গানের দোষটা কোথায়? আছে, দোষ আছে।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথে এখনো সেই আদ্দিকালের বাজনা বেজে চলেছে। সঙ্গত বলতে হারমোনিয়াম, বাঁশি, তবলার দু চারটে টুকটাক আর কি বোর্ডের কিছু ক্লান্তিকর সুর। এগুলোর কদর এখন আর নেই মানে তরুণদের কাছে নেই। তারা চায় একটু বৈচিত্র, একটু অন্য রকম মিউজক।
তাদের প্রণ ভরানোর জন্য যদি একটু গিটারের প্লাকিং, একটা লিড আর বেসের বাড়ি দেয়া যায় তাতে খারাপ কি? এগুলো তো সঙ্গত মাত্র।
গানের তাল, লয়, মূল সুর সব কিছু অবিকৃত রেখে যদি এসব ইন্সট্রুমেন্টের কিছু ব্যবহার করা যায় তাতে সমস্যা কোথায়? এতে তো গানের সুরের বা বার্তার কোন ক্ষতি হচ্ছেনা।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছুরই পরিবর্তন হয়। সব কিছুই খোলস পরিবর্তন করে। কবিগুরু তাঁর গানে যে সুর দিয়েছেন তা পরিবর্তনের প্রশ্নই আসেনা তবে সঙ্গত তো পরিবর্তন করাই যায়। আমি ভাই মুখুসুখ্যু মানুষ, আমি আর গানের কি বুঝি।
বড় বড় গন্যিমান্যি ব্যাক্তিরা কি আর শুধু শুধু ক্ষেপেছেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।