leo_abdullah@yahoo.com
সুস্বাস্থের জন্য আপনি নিজের কাছে কতটা দায়বদ্ধ? সারাদিনের ছোট খাটো কাজগুলোকে হিসেব করে দেখেছেন কি সেগুলো স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কি প্রভাব ফেলে। সকালের নাস্তায় কি একটা বা দুটি রুটি দিয়েই সারেন? দুপুরে একটা বার্গার আর কিছু ফ্রাই? সারা দিন অফিসে বসে বসে কাজ করার বসায় গিয়েও কি সোফায় পিঠ ঠেকান? নিজেকে কি আপনি সবসময় সজাগ করে রাখেন আর খুব সহজে মানসিক অবসাদের অনুভূতিগুলো ঝেড়ে ফেলতে পারেন না।
এটাতো কোন অংশেই ভুল না যে আপনার সবচাইতে বাজে অথবা ভালো অভ্যাসগুলো আপনার হার্টে, মনে এবং সর্বপোরি স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।
কিভল্যান্ড কিনিকের কার্ডিওলজি ও রিহ্যাবিলিটেশন ডিপার্টমেন্টের মেডিকেল ডিরেক্টর লেসলি চো বলেন, অধিকাংশ লোকই বুঝতে চায়না যে হৃদরোগ দীর্ঘ সময় নিয়ে তৈরী হয় আর সমান্য কয়েকটা ট্যাবলেট দিয়ে সারা জীবনের বদঅভ্যাসের কুফলগুলো এড়ানো সম্ভব না। আপনার পুরো শরীরের যে ছবি তার একটা বড় অংশ হলো আপনার মানসিক অবস্থাস বলেন চো।
লেসলি চোয়ের মতে স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে খারাপ এবং ভাল অভ্যাস কোনগুলো জানতে চাইলে তিনি যে লিস্টটা দিলেন সেটা এরকম:
স্বাস্থ্যকর জীবনের অন্তরায় সবচেয়ে বাজে চারটি অভ্যাস
ধূমপান : আপনি জানেন এটা আপনার বন্ধ করা উচিৎ কিন্তু করা হয়ে ওঠেনা। এর মুখোমুখি হন, আপনার বাজে স্বভাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপটি হলো ধূমপান করা। ধূমপান হার্টঅ্যাটাক, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার ও মুখের ক্যন্সারের জন্য দায়ী।
ফাস্ট ফুড এবং রেড মিট : আপনার ডায়েটের ফাস্টফুড মেনুতে যা দিয়ে ভর্তি থাকে সেগুলো হলো- লবণ, ফ্যাট, কোলেস্টেরল, এবং ক্যালরি। রেড মিট আপনার খুবই পছন্দের, যে কোন ধরণের ফ্রাই হলো তো কথাই নেই।
সকালের নাস্তায় প্যাস্টৃ এবং কেক আর সন্ধ্যায় বিস্কুট কিম্বা চিপস।
অতিরিক্ত বসে থাকা : দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেন আপনি, যাতায়াতের কারণেও দিনের লম্বা একটা অংশ ব্যায় হয়। সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘ পদক্ষেপ আপনি যা দেন সেটা হলো গেটের থেকে ঘরের দরজায়, সেখান থেকে রান্নাঘর এরপর সোফা বা বিছানায়।
কখনোই ডাক্তারের সাথে দেখা না করা : ডাক্তারের কাছে গিয়ে কোলেস্টরলের মাত্রাটা চেক করে আসবেন - অন্য যে কোন কাজের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ।
স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য সবচেয়ে সেরা চারটি অভ্যাস
ভাল জিনিষ খান : সকালবেলা আটার রুটি খান, হয়তো সাথে থাকে তাজা খাদ্য যেমন, আপেল, টমেটো, কমলা, আঙুর, গৃন সালাদ, ফুল কপি, পালং শাক কিম্বা মিষ্টি আলু।
সাদা রুটির থেকে আপনি ময়দার রুটিতে চলে এসছেন, কিম্বা গরুর মাংশ থেকে মাছে। আপনি ধীরে ধীরে হালকা জিনিষের দিকেই ঝুকছেন!
হাটুন : টিভির সুইচ অফ করে সোফা থেকে পিঠ তোলার রহস্যটা আপনি জেনে গেছেন। কাজের শেষে আপনি হাটা শুরু করেন। ইচ্ছে করলে অফিসের কাছ থেকেই গাড়ি পেতে পারেন আপনি কিন্তু বাড়তি কিছু হাটাহাটির জন্য তা আপনি করেন না। আপসি একবারে একটা করে সিড়ি ভাঙ্গেন।
খুব ধীরে ধীরেই হয়তো শুরু করছেন আপনি আর অল্প করেই করছেন কিন্তু প্রতিদিনই আপনি চেষ্টা করছেন অল্প করে হলেও এক্সারসাইজ করার। একদম এক্সারসাইজ না করার চাইতে অল্প এক্সারসাইজ করাও ভালো।
বছরে কমপক্ষে একবার ডাক্তারের কাছে যান : আপনি প্রতি বছরই ডাক্তারের কাছে যান সাধারণ টেস্টগুলো সারতে, যাতে কোলেস্টেরল, বা-লড প্রেসার, ডায়বেটিস এসবই চেক আপ করা হয়। যখন দরকার হয় আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি প্রতিরোধের যাবতীয় পদক্ষেপই আপনি নেন।
রিল্যাক্স করুন : মানসিক অবসাদ দুর করার উপায়গুলো আপনার জানা। বিকালে হাটাহাটির অভ্যাস আছে আপনার। প্রতিদিনই আপনি যোগ ব্যায়ম, মেডিটেশন অথবা প্রাথনা করার চেষ্টা করেন। কাজের বাএরও আপনার কোন হবি আছে। সামাজিক কাজে নিজেকে জড়াতে ভালবাসেন, তৈরী করেন বন্ধু।
আর এসবই আপনার মানসিক অবসাদ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে, যে কারণে আপনার হৃদরোগ কিম্বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।