আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলে গেলেন আনোয়ার হোসেন

বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা আনোয়ার হোসেন চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি.........রাজিউন)। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নাসিমা আনোয়ার প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গত তিন সপ্তাহ ধরে তিনি (আনোয়ার) স্কয়ার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রাত ১টা ৩০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।


আনোয়ার হোসেনের মরদেহ রাজধানীর কলাবাগানে ডলফিন গলিতে তাঁর নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল তিনটায় আনোয়ার হোসেনের মরদেহ তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থায় (এফডিসি) নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মায়ের কবরেই দাফন করা হবে।
আনোয়ার হোসেনের জন্ম জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে।

অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘ভাত দে’সহ পাঁচ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি বাংলার মুকুটহীন সম্রাটে পরিণত হন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাচসাস, পাকিস্তানের নিগারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গুণী এ অভিনয়শিল্পী। ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। পরে আরও দুবার তিনি এ সম্মানে ভূষিত হন।

এ ছাড়া ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান আসর থেকে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন এই গুণী শিল্পী। বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৫ সালে একুশে পদকও পান তিনি। আনোয়ার হোসেনের চার ছেলে ও এক মেয়ে। চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে থাকেন সুইডেনে। অন্য তিন ছেলে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।