মানুষ তার আশার সমান বড়...
কীবোর্ডটা কোলের উপর নিয়ে ভাবছি, দো-পায়ারা কত তাড়াতাড়ি মরে যায়! টাকার দাপটে ওরা আস্ত দোপায়া আর থাকেনা। অন্য কিছু হয়ে যায়, দ্রুত। হ্যাঁ-মানুষ? আর আমরা না-মানুষগণ এসব দেখে মাথা নিচু করি। আসলেই আমরা অসুস্থ্য। আমাদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।
চুলগুলো বড় হয়ে গেছে- চোখ ঢেকে যাচ্ছে, কালকেই কাটতে হবে সময় করে, মাথার দুপাশ ধপধপ করছে, যন্ত্রণা, যন্ত্রণা...। এ মুহুর্তে প্রয়োজন ছিলো মায়াময় ঐ চোখের দুষ্টু ইশারা, একটু শব্দদূষণ না করে যেখানে হাজার কাব্যিক কথা জমাট বেঁধে আছে।
আর আমি তার ঐ ঘনকালো চোখে চোখ রেখে হয়তো বলতাম- look through my eyes... there are demons inside... one of many i'm trying to fight..., হাতটা ধরতে দিবি?
সারাদিন বেশ ব্যস্ত থাকলাম। দুপুরের তুমুল বৃষ্টি আমাকে রিক্সাবন্দি করে রাখতে পারলো না। বিধ্বস্ত হয়ে যখন বাড়ি ফিরলাম তখন প্রায়ই বিকেল।
তারপর ফোন... আবার ভোল পাল্টানো, ছুটে চলো দো-পায়াদের জঙ্গলে। তাদের লম্ফ দেখো, দেখো নকল কান্না আর দেখো সরলতার মাঝে তাদের জটিল জটিল স্বজন ঠকানো। ইসসস দো-পায়ারা বিজয় স্মরনীর জ্যামের ঐ ছোট্ট পিচ্চি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফুল বিক্রির রহস্য জানেনা, জানলে কলাগাছে দড়ি দিয়ে তার নিচে দাঁড়িয়ে কান্না করতো। দো-পায়ারা যে নিজকে হত্যা করতে শেখেনি!
আমার রুমের কোথাও কোনো ঘড়ি নেই। ঘড়ির টিকটিক শব্দ আমার সহ্য হয়না, মোবাইলটা দূরে, পিসির ঘড়িটা আদিমযূগেই আমি বেঠিক করে রেখেছি, তাই বলতে পারছিনা ঠিক কয়টা বাজে এখন।
আজকের বড় সমস্যা হলো, আমি ডাবলিং ঘুমোতে পারিনা। একটু আগে মিজান এসে আমার এখানে উঠেছে। বিছানায় পা উঠিয়ে বললো, বাবা-মা ঝগড়া করেছে, তাই চলে এসেছি। আমি হাঁ না কিছু বললাম না, তার বাবা মা ঝগড়া করেছে আর বাড়ি ছাড়লো সে, কারণটা জিজ্ঞেস করলাম না। জিজ্ঞেস করলেও জবাব মিলতো না, সে ইতিমধ্যে নাক ডাকতে শুরু করেছে।
... ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। আমার আরো একটা বদ স্বভাব আছে, মশারী ছাড়া ঘুমাতে পারিনা, মশার একটা ভৌ শব্দ আমার ঘুম ভাঙানোর জন্য যথেষ্ঠ, মশারী টাঙ্গাবো কি করে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।