যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

সামহোয়ার নিয়ে আমার ভাবনা ১. আমার একটা নিরানন্দের ব্যামো আছে। যেমন হঠাৎ হঠাৎ আসে, আবার তেমনই হাপিস হয়ে যায়। সামহোয়ারের পেছনের লোকজনের উপরেই আমার আস্থা বেশী, অজন্মিত শিশুর জন্য কোন বিশেষ অনুভূতি তৈরী হবার কথা নয়, হয়নি। একজন ব্যক্তির নাম আমাকে উদ্বেলিত করে না, করে না তার সাথে নির্মিত কোন সম্পর্কও। মূলত তার অবস্থান কেবল আমার জন্য জরুরী।

মানে তার বেঁচে থাকা, বেড়ে ওঠা, তার বোধ নিয়ে, অধিকার নিয়ে সে যেন প্রান্তিক না হয়ে যায় সেটাই আমার জন্য জরুরী। বা প্রান্তিকও যেন ভালনারেবল না হয়ে যায় সেটাই হচ্ছে আমার আগ্রহের জায়গা। একজন ব্লগার সে যে মতাদর্শে বিশ্বাসী হোক না কেন তাকে আমি সমাজের সত্যতা মনে করি। তার সাথে সহাবস্থানই আমার রিয়েলিটি। ২. একটা সময়ে আমি আওয়ামী লীগের অন্ধ সমর্থকের মত পোস্ট দিয়েছি।

তবে বারবার উল্লেখ করেছি, এটা পরিপূর্ণ ইনটেনশনাল। যার মাধ্যমে আমি বোঝাতে চেয়েছি, আমার বিশ্বাস আসলে কিছু ভিন্নই। এখনও আমাকে অনেকে আওয়ামী লীগের একজন উগ্র সমর্থক হিসাবে মনে করেন। অথচ প্রকৃতপক্ষে আমি আওয়ামী লীগের জন্যই একজন ভয়ংকর সমর্থক যে শেখ হাসিনা তথা পরিবারতন্ত্রের বিলোপ ও দলের অভ্যন্তরে নিরঙ্কুশ গনতন্ত্রায়ন প্রত্যাশা করে। এবং একই সাথে সে বিএনপির এই সংস্কারগুলোরও প্রত্যাশী।

৩. আমার ধর্মবিশ্বাসে নাস্তিকতা আছে, কোন ধর্মকে আমি ঐশ্বরিক মনে করি না। ফলে আমার ধর্ম আমার কাছে বিশ্বাসের আধার নয়, এটা অনেক বেশী সংস্কৃতিগত ভালোলাগা। সকালে ফজরের নামাজ পড়তে যেতে ভাল লাগে, কারণ মনে পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি, বাবার ধমকে সাতসকালে জেগে মসজিদে সিজদায় ঘুমিয়ে পড়া। মক্তব্যের ছেপারা পড়া। আমি এসমস্ত বিশ্বাসী মানুষদেরকে ভালবাসি।

তাদের অনুভূতিতে আঘাত পেতে দেখতে চাই না। চাই না আমার মায়ের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত লাগুক। তার ইশ্বরের প্রতি ভালোবাসা প্রশ্নবিদ্ধ হলে সে মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়বে। ৪. আমি সমাজসংস্কারক নই, রাজনীতিবিদ নই, এমনকি কোন ধরণের সমাজকল্যাণমূলক কাজ করারও আমা ইচ্ছে নেই। আমি বাংলাদেশ, রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য কিছু করার কোন দায়িত্ব বোধ করিনা।

মূলত এখনই সব পরিবর্তন করে একদম একটা তৈরী করে দিয়ে যেতে হবে এই তাগিদটাকেই জরুরী মনে করি না। সময়ের নিজস্ব ধর্মকে পরিবর্তনে বিশ্বাসী নই। বর্তমান সময়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনায় একটিভলী অংশগ্রহণের মাত্রা কম দেখেছি। সমর্থন জানিয়ে যায় দু'একটা রাজাকার ছাড়া বাকী ৯৮%ই কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখা, গল্প, ইতিহাস বিষয়ক আলোচনায় আসলে তেমন কিছু কাজের মত কাজ করা হাতে গোনামাত্র।
।