সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
ডিজিটাল জুস প্যাকজের পর ধুমাইয়া আড্ডা কথাটাকে বেশ প্রমোট করেছিল গ্রামীন ফোন। আরও কিছু শব্দকে পিক করেছিল তারা। তখন অনেকেই বলা শুরু করলো এগুলা হলো ডিজুস ভাষা। ভাবখানা এমন, ডিজুস প্যাকেজ আমাদের আস্ত একখানা ভাষা উপহার দিল।
আমার ভাগ্য ভাল, এই প্যাকেজের আগে আমি শব্দ সংগ্রহ শুরু করেছিলাম। কিন্তু সবকিছু কি লোকের চোখে পড়ে? তাই মাঝে মাঝে ডিজুস ভাষার কথাটা শুনতে হয়। কর্পোরেটের আসল মজাটাই এখানে। এমনভাবে প্রচার করে যে, সেটা তার না সেটাও তার হয়ে যায়। লোকের মুখ থেকেই এইটা যে তার এটা বলিয়ে তবে সে ছাড়ে।
এমন ঘটনা হিংলিশ ভাষার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল। ভারতে ইংরেজি হিন্দি মিশিয়ে এক ধরনের নতুন ধরনের ভাষা চালু ছিল প্রায় এইটিজ থেকে। মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডক এই ভাষার জনপ্রিয়তা ও সহজবোধ্যতা দেখে একে তার এশিয়ান টিভিগুলোর সম্প্রচারে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিলেন। অমনি হৈ হৈ রব পড়ে গেল। সাম্রাজ্যবাদ আমাদের ভাষা খাচ্ছে।
তোরা নিজেরা যে ভাষা খাচ্ছিলি সেটা টের পাচ্ছিলি না? রুপার্ট বিজনেস করলো তো পান থেকে চুন খসে গেল?
যাই হোক ধুমানো নিয়ে কথা হচ্ছিল। ধুম্র মানে ধোঁয়া। আড্ডার সাথে ধুম্রর সম্পর্ক নাই। ধোঁয়া থাকলে আড্ডা পণ্ড। কিন্তু ধোঁয়া যদি চায়ের কাপ থেকে ওঠে তো কথা নেই।
চলতে পারে। চলতি কথায় আমরা বলি, চায়ের কাপে ঝড়। শুকনা কথার আসর। এর একটা মোক্ষম ইংরেজিও আবিস্কৃত হয়েছিল - টি টেবল রেভিউলেশন। সেই ধোঁয়া থেকেই এই ধুমছে> ধুমানো> ধুমাইয়া।
ঠিক কিনা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।