জার্মানিতে জিএইট সম্মেলনে গেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারবিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস। সেখানে গিয়ে তিনি অ্যাঞ্জেলা মার্কেলসহ পুজিবাদী ব্লকের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন, দেখা করছেন। একজন মুক্ত মানুষ হিসেবে তিনি সেটা করতেই পারেন। তাতে আমার কোনো উদ্বেগ নেই।
কিন্তু যারা এই সম্মেলনের বিরোধিতা করছেন, বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, বক্তৃতা করছেন, দারিদ্রবিরোধী সঙ্গীত পরিবেশন করছেন, সেখানেই যাচ্ছেন ড. ইউনূস।
এটা কেমন হয়ে গেল না!
জি এইট দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোকে কেবল ঋণ দেয় না, সেই সঙ্গে 'পরামর্শও' দেয়। আমরা জানি এই পরামর্শগুলো প্রায় উন্নয়নশীল দেশটির সার্বভৌমত্বে আঘাত করার শামিল। এসব সম্মেলনে সাধারণত সে সব নিয়েই আলোচনা হয়ে থাকে। এ কারণে এক শ্রেনীর লোক এইসব সম্মেলনের বিরোধিতা করেন। আমি বিরোধিতাকারিদের পক্ষেও যাচ্ছি না।
আমরা জানি, ড ইউনূস পুজিবাদী আদর্শের লোক। তিনি জি এইট দেশগুলোর আদর্শের পক্ষের ব্যক্তি।
তাই তার দারিদ্রবিরোধীদের কাতারে না গেলেই শোভন হতো। যেমন বৃহস্পতিবার তিনি গেলেন হ্যানোভারে কনসার্টে, যেখানে গান করেন আইরিশ ব্যান্ডদল ইউ টুর বোনো, জিএইটের সম্মেলনের বিরুদ্ধে যিনি দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন। তার পাশে গিয়ে তিনি না দাড়ালেই পারতেন।
ড. ইউনূস সেখানে যাওয়ায় আমি খুব বেশি ক্ষুব্ধ হইনি। তবে তার সেখানে না গেলেই ভালো হতো, যেহেতু তিনি নোবেলজয়ী। হাজার হোক, একজন সম্মানিত ব্যক্তি তিনি। প্রত্যেকেরই একটা আদর্শ থাকা ভালো। সব কিছুই যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।