যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত এবং রচয়িতা নিয়ে একটা বিতর্ক করা চেষ্টা করছেন কয়েকজন চিহ্নিত ব্লগার। এই বিতর্কের কারন কি? এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা চাইতে একটু পিছনের দিকে দেখা যাক। ১৯৭১ সালের আগেও রবি ঠাকুরে উপর বেশ কয়েকবার আক্রমন করেছিল পাকি সরকার। পূর্বপাকিস্থানের গভর্নর মোনায়েম খানের নির্দেশে রেডিও ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করা হয়। অন্যদিকে ফররুখ আহমেদ - কায়কোবাদের মতো কবিদেরকে সামনে এনে রবীন্দ্রনাথকে আড়ালের হাস্যকর প্রচেষ্টা চলে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও সামরিক সরকার কাজী নজরুলকে দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে আড়ালে পাঠানোর প্রচেষ্টা নেয়।
দেখা যাক মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে ১০ মাসের মধুচন্দ্রিমায় জামাত কি বলেছিল রবি ঠাকুর সম্পর্কে। দেখুন:
৩০ এপ্রিল ১৯৭১: দৈনিক সংগ্রাম
"যারা পূর্ব পাকিস্থানকে 'বাংলাদেশ' করেছিল, জিন্নাহ হলকে 'সূর্য সেন' করেছিল, রবীন্দ্রনাথকে জাতীয় কবি করেছিল আর সেই ঠাকুরেরই 'ও আমার সোনার বাংলা' জাতীয় সঙগীত করেছিল তারা পাকিস্থানী হবার যোগ্যতা সর্বোতভাবে হারিয়েছে বলে কোন পাকিস্থানী আজ তার সমর্থন যোগাবে না। "
১০ এপ্রিল ১৯৭১: দৈনিক সংগ্রাম
"রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি হিন্দু"
সুতরাং আশরাফ রহমান বা ত্রিভুজের মতো কেহ কেহ যখন বির্তকটাকে উসকে দিয়ে বাজার যাচাইয়ের চেষ্টা করে - তখন আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না যে কোথার থেকে এবং কার পক্ষে এরা কথা বলে।
আশরাফ রহমানের কাছে প্রশ্ন: সংগ্রামের উপরের দুই লাইনের সাথে আপনি একমত না দ্বিমত পোষন করেন?
ত্রিভুজ ও আশরাফ - আপনাদের পছন্দের গান কোনটি যা "আমার সোনার বাংলা" কে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হবার মতো উপযুক্ত?
আমরা যারা পাকিস্থানী হবার যোগ্যতা হারিয়ে নিজেদের গর্বিত মনে করি তাদের জন্যে রবি ঠাকুর আর তার গান "আমার সোনার বাংলা" একটা গর্বের বিষয়।
সেটাই কি ৭১ এর অর্জন নয়?
আর যারা পাকি হবার 'সর্বোত' যোগ্যতা হারানোর কষ্টে দিনানিপাত করছেন - তাদের জন্যে এই গান এবং গানের কবি অবশ্যই এলার্জির কারন হবে - বলাই বাহুল্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।