আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন খবর ০৩ জুন ২০০৭

i'm lost and alone and i'm fair and i'm free you am what you is and i are who i be what i'm lacking in strength i make up for in smarts you keep your stability i'll keep my heart

নিউজিল্যান্ডে বেশ কয়েকদিন ধরে এক ইলেকট্রিসিটি কোম্পানির সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে। কোম্পানির নাম মারকিউরি এনার্জি। অকল্যান্ডের একটা বাসার পাওয়ার লাইন কাটা নিয়ে শুরু। সামোয়ার এক পরিবার থাকে সাউথ অকল্যান্ডে। বেশীর ভাগ পলিনেশিয়ান লোকই সেই এলাকায় থাকে ।

এই এলাকা এবং এর লোকজন নিয়ে কিছুটা খুঁতখুঁত ভাব এমনিতেই আছে মানুষের। তার কারণও আছে। পলিনেশিয়ানদের বেশ বড় একটা অংশ কোন কাজকর্ম করেনা, ওদের জন্য নিউজিল্যান্ডে আসা সহজ এবং বেকার ভাতা পাওয়াও সহজ। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একজন মানুষের উপর কয়জন নাবালক নির্ভরশীল তার উপর ভিতিত করে ভাতার পরিমান ঠিক করা হয়। তাই যার যত বেশী বাচ্চা,সে তত বেশী টাকা পায় সরকার থেকে।

দেখা যায় যে এদের অধিকাংশেরই বিশাল পরিবার। সাধারণত মায়েরা এই পরিবারের দায়িত্বে থাকে। বাবারা মদ খায়, বাসায় থাকে, কখনো কখনো বাচ্চা-বউদের মারে, সেইগুলির কোন কোনটা খবরেও আসে। অনেক সময় বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠায়না, রাস্তায় একা ছেড়ে দেয়। সাউথ অকল্যান্ডে ক্রাইম রেটও বেশী।

বিশেষ করে টিনেজ গ্যাঙ অনেক বাড়ছে। এইসব কারণে ‌‍পলিনেশিয়ান শুনলেই একধরনের জেনারালাইজেশান কাজ করে মনে। আমারও। এদেরকে কোনকিছুর ভুক্তভোগী বলে মনে হয় না, বরং যে কোন ঘটনায় এদের দোষ খুঁজতে যাওয়া অথবা অবিশ্বাস করাটাই সাধারণ প্রতিক্রিয়া। তাই মারকিউরি এনার্জি যখন দেখলো যে বিল দেয়া হয় নাই আর ফোন করলেও কেউ ধরছে না, তখন লোক পাঠালো বাসার ইলেট্রিসিটি লাইন কাটার জন্য।

এবং সেই লোক লাইন কেটে দিয়ে আসলো। এর দুই একঘন্টার মধ্যেই বাড়ির কর্ত্রী ফললে মুলিয়াগা মারা গেলেন। ফলোলে অসুস্থ ছিলেন এবং সেইদিনই হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। তার নিশ্বাস নিতে হতো একটা যন্ত্রের মাধ্যমে, যা ইলেকট্রিসিটিতে চলে। যখন মারকিউরির লোক বাসায় আসছে তখন বাচ্চারা বাসায় ছিল ফললে সহ, তাদের ভাষ্য অনুযায়ী সেই লোককে তাদের মায়ের অসুখের কথা বলার পরেও সে পাওয়ার কেটে দিছে।

মারকিউরি বলতেছে যে কেউ অসুস্থতার কথা বলে নাই। তবে খবরে যে ফুটেজ দেখালো তাতে ব্রিথিং যন্ত্রটা দেখলেই বোঝা যায় যে কেউ বেশী রকম অসুস্থ হলেই এই যন্ত্রের সাহায্য নিতে হবে। মারকিউরির লোক বাসায় এসে যন্ত্রসহ ফলোলেকে দেখেছে, তারপরেও পাওয়ার বন্ধ করে গেছে। ফলোলের পরিবার সামোয়া'র হলেও কখনো বেকার ভাতা বা সরকারী সাহায্য নেয় নাই। মহিলা একটা স্কুলে পড়াতেন।

তাঁর স্বামী খুব কম বেতনের কাজ করেন, এবং পুরা বেতনটা বাসার ভাড়া মিটাতেই যায়। তাই ইলকেট্রিসিটি বিল পুরাটা দিতে পারেন নাই, তবে দুই ইন্সটলমেন্টে কিছু কিছু দিয়েছেন। এখন মারকিউরি মহা সমস্যায় আছে। মিডিয়াতে অনেক হইচই হচ্ছে এই ঘটনা নিয়ে । যে কোন বড় করপোরেশান এর মানবিক দায়িত্ব থাকার কথা মিডিয়ার মতে।

আদিবের সাথে কালকে আমার এই নিয়ে অনেক তর্ক হয়ে গেল। আমার মনে হইছে, এইটা একটা স্পেশাল কেইস ছিল, এবং যখন দেখা যাচ্ছে যে এর উপরে একজন মানুষের বাঁচা মরা নির্ভর করছে তখন পাওয়ার কাটা উচিত হয় নাই। একটা বিল দিতে না পারার কারণে কারো মরে যাইতে হবে না। আদিবের মতে মারকিউরি একটা বিশাল কোম্পানী এবং এর গ্রাহক সংখ্যাও অনেক। তাদের পক্ষে এটা ট্র্যাক রাখা সম্ভব না যে কে অসুস্থ, কার জীবন রক্ষার জন্য ইলেকট্রিসিটি লাগবে ইত্যাদি।

ফলোলের পরিবারের কেউ তো তাদেরকে ফোন করে জানায় নাই যে এই সমস্যা, এবং অনেকবার ফোন করেও তাদেরকে পাওয়া যায় নাই, তখনই লোক পাঠাতে হইছে। এবং যাকে পাঠানো হয়েছে সে তার কাজ করে আসছে, এতে কোম্পানীর কি দোষ। আপনাদের কি মনে হয়? ---------- নীচের পেজে বিস্তারিত খবর দেখা যাবে http://tvnz.co.nz/view/page/488120/1158892

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।