সেই আমাদের বাংলাদেশ।
খবরটা এটিএন-এ শুনে রাহেলা কেমন যেন বিমর্ষ হয়েগেল। এখন সংসার চলবে কি ভাবে? তার স্বামী এম এ কাশেম একজন সৎ ব্যবসায়ি। দুই মেয়ে এবং এক ছেলে নিয়ে সংসার। তার উপর আছে কাজের লোক, ড্রাইভার।
সংসারে খরচ তো কম না। বড় মেয়ে মেডিকেলে ফোর্থ ইয়ারে পড়ে, তার পর ছেলে বুয়েটে সেকেন্ড ইয়ারে। আর ছোট মেয়েটা ভিকারুননেসাতে টেনএ পড়ে। আগামি বছর পরীক্ষা দিবে। ছেলে মেয়ে তিনটার পড়ার খরচ অনেক।
কাশেম সাহেব বছর দুই-এক আগে হাউজ বিল্ডিং থেকে লোন নিয়ে উত্তরায় বাড়ী করেছে। মাসে মাসে লোনের কিস্তি শোধ করতে হয়। রাহেলা ভাবতেই পারছে না, ব্যবসায় লাভ ছাড়া অন্য কিভাবে আয়-রোজগার করবে?
সন্ধ্যার পর কাশেম সাহেব মনমরা হয়ে বাসায় ফিরলেন। রাহেলা কাশেম সাহেবের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে সংবরণ করলেন। আসা মাত্রই যে প্রশ্নটা করবেন বলে, ঠিক করে রেখে ছিলেন, তা করা হল না।
কিন্তু কাশেম সাহেব ব্রিফকেইসটা আলমারির পাশে রাখতে রাখতে বললেন, রাহেলা এখন থেকে ব্যবসা করতে হবে মুনাফা ছাড়া।
রাহেলা তো এ প্রসংগে শুনার জন্য সরাদিন উৎকর্ণ আছে। কাশেম সাহেবের মনমরা ভাব দেখে সে কিছু বলতে চায় নি, কিন্তু কাশেম সাহেবেই যখন প্রসংগটা তুললেন, তখন রাহেলা বলল, তাহলে সংসার চলবে কি ভাবে?
কাশেম সাহেব খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে বললেন, এখন থেকে দুটা ব্যবসা করব। দিনের বেলায় মুনাফা ছাড়া ভোজ্য তেলর ব্যবসা এবং রাতের বেলা অধিক মুনাফা সহ আদিম ব্যবসা।
রাহেলা কাশেম সাহেবের মুখের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
কাশেম সাহেব গুনগুন করতে করতে বাথরুমে ঢুকে শাওয়ার ছেড়ে দেয়।
তিন মাস মুনাফা ছাড়া ব্যবসা করবে ভোজ্য তেল আমদানিকারকরা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।