আগামীকাল যদি মানুষজন ধাক্কা দিয়ে কেয়ারটাকার সরকারকে সরিয়ে দেয়, মূল কারণ হবে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি। নিজে ইকোনমিক্সের অ আ পর্যন্ত বুঝি না, কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে আরো কিছুদিন আমাদের এই পাগলা ঘোড়ার তুর্কীনাচন সহ্য করতে হবে। গতকালকে ডেইলিস্টারে যেই রিপোর্ট পড়লাম তাতে সেরকমই মনে হল। বেশ কয়েকটা পরস্পর সংযুক্ত বিষয় কাজ করছে এখানে
1. আন্তর্জাতিক মূদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেশ কয়েকবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। যার ফলে বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ যায়গাতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে।
[আমেরিকা, ইউরোপ আর মধ্যপ্রাচ্যের ব্লগাররা ফীডব্যাক দিতে পারেন, যারা ৩-৪ বছর ধরে বাইরে আছেন]
2. আন্তর্জাতিকভাবেই ২০০৫-৬ এর সময়ে জ্বালানী তেলের বিশাল মূল্যবৃদ্ধি। আর জ্বালানীমূল্য সব ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে।
3. দেশে থাকতে জনকন্ঠে একদিন হেডলাইনে দেখেছিলাম ৭০ এর দশকের পরে এবছরই গ্লোবালি খাদ্যশস্য উৎপাদন সর্বনিম্ন, ফলে বিশ্বব্যাপী খরা এবং দূর্ভিক্ষ দেখা দেবার চান্স আছে।
4. গত ৮-১০ বছর ধরে চললেও গতবছর থেকেই প্রথম বায়োফুয়েল মেইনস্ট্রীমে ঢোকা শুরু করেছে। ফলাফল হিসাবে যে বিপুল পরিমাণে কৃষিজমি আমেরিকান গাড়ি চালাতে নিজেদেরকে উৎসর্গ করবে, তাতে এশিয়া আর আফ্রিকাতে আরো কয়েকটা সীনায় পাঁজরের দাগ আরেকটু গাড় হবে, আরো কিছু শিশু প্রথম জন্মদিনের আগেই পৃথিবীর মায়া ছাড়বে।
5. বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ উপার্জন আর খরচের জন্য কালো টাকা আর বামহাত ব্যাবহার অভ্যস্ত ব্যাবসায়ীগোষ্ঠীর অনেকেই চুপচাপ বসে আছে বিপদ কেটে যাবার আশায়। ফলে স্থবির অর্থনীতি আরো ন্যুজ করে তুলছে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি।
অনেকগুলো নেগেটিভ পয়েন্ট। তাতে উপসংহার? সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অসম্ভব, কিন্তু সুশাসন থাকলে কিছুদিনের ভিতরেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব। উপার্জন আর বরকত ভিন্ন জিনিষ, আশা করি তাইই থাকবে।
সব সময়ের জন্য।
অর্থনীতির কৌতুহলী পর্যবেক্ষক কেউ থাকলে ইনপুট আশা করব। আমার তো সবই পরের মুখে ঝাল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।