নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
আমি এ দেশের একজন অতি সাধারণ মানুষ, এখানে লিখছি একজন অতি সাধারণ ব্লগার। আমি সাধারণের সাধারন। আমার এ লেখা সকল সাধারনের পক্ষ হতে। সকল সাধারনের এক সমষ্টিগত কন্ঠস্বর। আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের দেশের নাগকিত্বধারী এক বাঙালী “শফি সামী’ কে” যিনি, আমাদের ভিতর সৃষ্টি করেছেন এক অপরিসীম শ্রদ্ধাবোধ ও কৃতজ্ঞতাবোধ, একজন অতি সাধারন বিদেশিনীর জন্য, জ্বি হ্যাঁ আমাদের সম্মান সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা “ভেলরি”র জন্য।
ভেলরির প্রতি রইল অতি সাধারনের পক্ষ থেকে অসাধারন পরম শ্রদ্ধা ও পূর্ণ সমর্থন।
শফি সামী’ কে উদ্দেশ্য করে বলছি, আপনি এ দেশের একজন সম্মানিত মানুষ, একজন বড় আমলা, একটি সরকারের সাবেক উপদেষ্টাও ছিলেন অনেক বড় বড় উপাধির ভীড়ে আপনার বড় পরিচয় আপনি বাঙ্গালী, আপনি বাংলাদেশ নামের একটি উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক। আর বর্তমানে যে পরিচয়ে আপনাকে সবার সামনে তুলে এনেছে সে পরিচয়ে আপনি একজন কাপুরুষ। আশ্চর্য হতেই হয়, যুদ্ধ শেষে অসহায় পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের অসহায়ত্বকে চ্যালেঞ্জ করে যে বিদেশিনী নিজেকে আত্মসমর্পন করেছিলেন, শুধু একটি দুটি বছরের জন্য নয় তার জীবনের ৩৬টি বছর, বার বার অপমানিত হয়েও নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে এগিয়ে গিয়েছেন এবং সৃষ্টি করেছেন সিআরপি, আজ এই প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আপনার লোলুপ দৃষ্টি দেখে সত্যিই আপনাকে কাপুরুষ ছাড়া কিছুই বলতে পারছিনা।
অথচ এমনটাও হতে পারত, শফি সামী আপনি কি একটু ভাববেন প্লিজ, আপনি সিআরপি’ কে আরো উন্নত ও সাহায্য করার জন্য ২০০৭ সালে এসে নতুন সংগ্রাম শুরু করেছেন, অর্থ সংগ্রহে আপনার অবদান থাকত সর্বাগ্রে, মানুষ্য সেবায় নিবেদিত প্রানের জন্য জাতির প্রতিটি মানুষ আজ আপনাকে যে শ্রদ্ধা সম্মান করত, হৃদয়ের মণিকোঠায় যেখানে আপনার অবস্থান হত অসংখ্য আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়ে জাতির জীবনে চিরস্মরনীয় ও অম্লান হয়ে থাকতেন।
আমরা সাধারন’রা গর্ব করে বুক উচিয়ে বলতে পারতাম দেখ বাঙ্গালীকে এই হচ্ছে সেই শফি সামী যিনি ভেলরিকে সাথে নিয়ে ২০০৭ সালে নতুন যুদ্ধ শুরু করেছেন সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠায়।
কষ্ট হয় তখনই যখন শুনতে হয় বাংলাদেশী বেঈমান। তাচ্ছিল্ল করা হয় কোন বাঙ্গালীকে। বাঙ্গালীত্ব’র সম্মানকে হরণ করা হয়। কেন আমরা কি যুদ্ধ করিনি, প্রান দিইনি স্বাধীনতা অর্জন করেনি, তার চেয়ে কি বড় কঠিন কাজ ছিল নিজেকে নিবেদন করা মানুষ সেবার কাজে ? আজ একজন বাঙ্গালীর জন্য পক্ষ নিতে হয় একজন বিদেশিনীর, কারণ সাধারন’রা সত্যের পূজারী, সত্য যেখনেই থাকুক সত্যকে তারা বরণ করবেই।
আমরা সত্যকে অন্য কোন রুপে দেখতে জানিনা তাই সহজ সরল সত্যকে বিশ্বাস করে একজন ভেলরির পক্ষ হয়ে ভেলরির জন্য যুদ্ধ করছি। ভেলরির সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের এ যুদ্ধ। আপনার এ কাপুরুষোচিত কর্ম ভেলরির প্রতি সাধারণের আস্থা যেমন বাড়িয়ে তুলেছে, তেমনি তাঁর প্রতি মমত্ববোধ,ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্মান জাগ্রত করেছে।
আমরা আপনাকে আপনার কাপুষোচিত কর্মের জন্য ধন্যবাদ দিতে চাইনা, ধন্যবাদ এখানে মেকী। ধন্যবাদ পাবার যোগ্য আপনি নন।
শুধু এতটুকুই অবশিষ্ট থাকে, আজ আমাদের এ লেখা যদি কোন বাঙ্গালীর পক্ষে হত, কোন বাঙ্গালীর প্রতিদানের সম্মান ফিরিয়ে দেবার জন্য আমাদের এ যুদ্ধ, তার জন্য ইন্টারনেটে ভোট চাওয়া, বিশ্ববাসী দেখত একজন বাঙ্গালীর জন্য কত বাঙ্গালী লড়তে পারে !
আমাদের আফসোস নেই কারন আমরা লড়ছি সত্যের পথে, ভেলরির সত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে, তিনি বাঙ্গালী নন তো কি হয়েছে ? বাঙ্গালীর জন্যই তো বিলীন করে দিলেন নিজেকে, তাকে সম্মান দেয়ার দায়িত্ব আমার আপনার সকলের, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।