বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্মৃতি-বিস্মৃতি দুই-ই ঘটে। আমার যেহেতু কিছুটা বয়স বেড়েছে, তাই মাঝেমধ্যেই স্মৃতি এসে হানা দেয়, ফিরে ফিরে যাই শৈশবে। যেমন এই শরৎকালের কথা মনে এলে মনের মধ্যে বারবার জেগে ওঠে ছেলেবেলার নানা স্মৃতি। আমার মনে হয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে পৃথিবীতে মানুষ যত পুরোনো হতে থাকে, তার কাছে ঋতুর বৈচিত্র্যও তত পুরোনো হতে শুরু করে। আমাদের দেশে ঋতুগুলো একসময় খুব পরিষ্কারভাবে বিভক্ত ছিল। আর এখন বিষাক্ত পৃথিবীতে প্রকৃতির ভারসাম্যহীনতার কারণে ঋতুর বিচিত্রতা তো তেমনভাবে বোঝাই যায় না—কোন ঋতু যে কখন পার হয়, টেরই পাওয়া যায় না!
ছেলেবেলায় শরৎকাল আমি যে কী পছন্দ করতাম! শরতের নির্মল আকাশে থাকত ননি মাখানো মেঘ—মেঘটা পেঁজা তুলোর মতো ভেসে বেড়াত। মনে পড়ে, শরতের সময় যবগ্রামে আমাদের খামারবাড়িতেই কাটাতাম বিকেলগুলো। শেষ বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামার ঠিক আগে আকাশের মেঘ সরে যেত, জ্বলে উঠত সন্ধ্যাতারা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।