মামা ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে । ১.
“এই পর্যন্ত কইটা মেয়ে তোমাকে প্রপোজ করেছে ?” চশমার পেছন দিয়ে কড়া চোখে তাকিয়ে সেমন্তি প্রশ্ন করলো। আমি কিছুটা লজ্জা পেলাম। এর আগে কখনো কোন মেয়ের কাছ থেকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হইনি। হেসে বললাম, ‘‘ একটাও না ” ।
নুরুজ্জামান স্যার মিটিমিটি হাসছেন। টিভি ডিবেটে অংশ নিতে কলেজের ডিবেট টিম ট্রেনে চেপে চলছি ঢাকা। এবার সিমির পালা । মুখে দুষ্টুমি খেলিয়ে সে জিজ্ঞাসা করলো, “ আর তুমি কজনকে প্রপোজ করেছো ?” এবারও আমার সলজ্জ উত্তর, “ কাউকে না! ” দুই সহপাঠিনী অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।
২.
বিশেষ এক কারণে সমবয়সী দুই প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে কাজ করতে হয়েছিল আমাকে।
দুজনেই নর্দানের স্টুডেন্ট। মাথায় হঠাৎ দুষ্টুবুদ্ধি চাপায় প্রেমিকাকে প্রশ্ন করলাম, ‘ আপু আপনার ব্যাচে কোন মেয়ে ফাঁকা আছে কি, প্রেম করার মত? ’ সে মুখ দুঃখী দুঃখী করে বলল, ‘নাতো ভাইয়া, সবাই এঙ্গেজড। ’
আমি ব্যর্থ মনোরথে ফিরে এলাম।
৩.
সিনিয়র-জুনিয়র আড্ডা দিচ্ছিলাম । শ্রদ্ধেয় সোহেল ভাইয়ের ভার্সিটি লাইফ শেষের দিকে।
আড্ডার বিষয় ভার্সিটির নারীরা। সোহেল ভাই পরামর্শ দিলেন, বাবারে যত তাড়াতাড়ি পারো বিয়ে করে নাও। তাছাড়া শেষ পর্যন্ত বিয়ে করার মত পবিত্র কাউকে পাবেনা। আমি শান্ত কন্ঠে উনাকে বললাম, ‘আমি এতো অভিজ্ঞতালব্ধ মানুষ নই। তবে কুরআনে আমি একটা আয়াত পড়েছি যাতে আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে।
“ দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য। সৎচরিত্রা নারী সৎচরিত্র পুরুষের জন্য এবং সৎচরিত্র পুরুষ সৎচরিত্রা নারীর জন্য ”।
আমি আমার মত কেউ একজনকে পেলেই অনেক খুশী হবো’।
৪.
ক্লাস এইট বা নাইনের দিকে যখন উইশ লিস্ট বানাই , তখন তার তিন নম্বরে ছিল,
'ভার্সিটিতে উঠে প্রেম করবো। '
আল্লাহর রহমতে সে খায়েশ আজো পুরণ হয়নি, পুরণ করার ইচ্ছাও নেই অবশ্য।
আর টাখনুর ওপর প্যান্ট পরা ছেলের সাথে কে ভাব জমাতে যায় বলুন! আমার আরেক বন্ধুর লক্ষ্যও ছিল আমারই মতন। ভার্সিটিতে উঠে প্রেম করবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে সে প্রথমে প্রপোজ করলো কলেজ পড়ুয়া এক মেয়েকে। কিন্তু প্রথমেই ব্যর্থ। কারণ মেয়ে অলরেডি এংগেজড।
এবার সে প্রপোজ করলো ক্লাস নাইনে পড়া এক মেয়েকে। এবারও ব্যর্থ। কারণ একই, মেয়ে এংগেজড। এবার সে গেল রিস্ক ফ্রি পলিসিতে । বন্ধুর পড়ানো ক্লাস সিক্সের মেয়েকে টার্গেট করলো।
মেয়ের বইয়ের ভেতরে প্রেমপত্র লিখে পাঠিয়ে দিল বন্ধুর হাত দিয়ে। দেরী হওয়ায় তার কি টেনশন! ক্লাস সিক্সের মেয়ে বুঝবে তো! একদিন মেয়ের জবাব আসলো। গোটা গোটা হাতে লেখা, ‘ ভাইয়া আপনি যে কী বোকা, ক্লাস সিক্সের কোন মেয়ে কি এখন ফাঁকা থাকে!’
তার গল্প শুনে আমি টাস্কিত হলাম!!'
কালেক্টেড ফ্রম সাজিদ মামার নোট ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।