আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

@ সর্বযুগের সর্বাধুনিক জীবনপদ্ধতির নামঃ ইসলাম(১৩)

জন্মোপার থেকে পৃথিবী হয়ে অনন্তে >>> ©www.fazleelahi.com

আগের পর্ব পড়ুন । অপরাধীদের বিরুদ্ধাচরণঃ সাধারণভাবে সকল পর্যায়ের অপরাধীরাই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে থাকে। এটা তাদের কৃত কর্মের ফলে নিজস্ব পরিধিতে প্রতিফলিত প্রতিক্রিয়া মাত্র। এই প্রতিক্রিয়ার আন্তরিক কিংবা ব্যক্তিগত রূপ তো রয়েছেই, আর এর বাহ্যরূপের প্রকাশ ঘটে এক অপরাধী অন্য অপরাধীকে সমর্থন, সহযোগিতা ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দানের মাধ্যমে। নিজেদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ-সংঘাতের কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বে কিংবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে গিয়ে অনেক সময় তারা আবার আইনের সহযোগীও হয়ে পড়ে, তবে তা পরিস্থিতির আলোকে নিতান্তই আপেক্ষিক।

জগত বিখ্যাত জীবন ব্যবস্থা ইসলাম ও তার ন্যায়পূর্ণ আইন-কানুনের বিরোধিতায় অপরাধী চক্র সর্বযুগেই একটা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। এই বিরুদ্ধাচরণে তারা উপরোক্ত সব ক'টি পর্যায় ও পন্থাকেই কাজে লাগিয়ে থাকে। তাই সকল পর্যায়ে তো পর্যায়ভিত্তিক রয়েছেই; বরং কখনো কখনো অন্তরে কপটতা লুকিয়ে রেখে ইসলামের ছায়াতলে তাদের আশ্রয় নিতেও দেখা যায়। মোটকথা, অপরাধ সংঘটন ও তদীয় যাবতীয় স্বার্থের টানে এই চক্র আপন পিতা-মাতা বা সন্তান-সন্ততির গলায়ও নির্দ্বিধায় অস্ত্র চালিয়ে যেতে পারে। স্বার্থে হোক, নেশায় হোক কিংবা সুগভীর ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়নে হোক; এদের নিকট পার্থিব স্বার্থ হাসিল ও অপরাধ সংঘটনই মূখ্য হয়ে থাকে।

অপরাধীরা সাধারণতঃ চার পর্যায়ের হয়ে থাকে- ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক। এর মধ্যে ব্যক্তিগত অপরাধ থেকে কেউই মুক্ত নয়; আমরা প্রত্যেকেই জানা-অজানায়, লুকিয়ে-ধরা খেয়ে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ নানাবিধ অপরাধ করে থাকি। যতক্ষণ পর্যন্ত না তা অন্য কারো নিকট ধরা পড়ে যায়, ততক্ষণ সে অপরাধের দায়বোধ ও বিবেকযন্ত্রণা এককভাবে অপরাধীই ভোগ করে থাকে। কিন্তু ব্যক্তির এই একান্ত অপরাধ পরোক্ষভাবে অন্যদের উপরও প্রভাব ফেলে থাকে, তবে কেউ কেউ তা উপলব্ধি করতে পারে আবার কেউ করে না। এসব অপরাধ কখনো কারো চোখে ধরা পড়লে পরে সে যদি শালিসে, পঞ্চায়েতে বা আদালতে নালিশ দায়ের করে, তবেই কেবল আইন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

তাই ব্যক্তিগত অপরাধীদের অধিকাংশ ততক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় না; যতক্ষণ না সে এ পর্যায়কে অতিক্রম করে অপরাধ প্রবণতায় আরো বড় কোন পর্যায়ে পতিত না হয়, অথবা অন্ততঃ বিচারের সম্মুখীণ না হয়। সেক্ষেত্রে এরা মনে মনে ইসলামী আইন-কানুনের বিরোধী হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। অবশ্য কোথাও যদি ইসলামের বিজয় সূচিত হবার খবর পায়, তখন সক্রিয় বিরোধীদের শক্তি যোগানে তারা অসামান্য ভূমিকা রাখে। এছাড়া বর্তমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচনে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারীদের হাতকে মজবুত করতে এদের কোন জুড়ি নেই। ইসলামের ক্ষেত্রে এই ব্যক্তিগত অপরাধ বৃহৎ পর্যায় পর্যন্ত সম্পর্ক রাখে।

কেননা, ব্যক্তির উন্নয়নই আদর্শের উন্নয়ন; আর ব্যক্তির অধঃপতন আর্দশকে দুর্বল করে দেয়, কিন্তু আদর্শ তার অবস্থানে সমুজ্জ্বল থাকে। শুধুমাত্র তার সুফল কিংবা কুফলেই অনুসারীরা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে একথা অনস্বীকার্য যে, ব্যক্তিগত অপরাধীদের অপরাধ সংঘটনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্যেও দায়ী থাকে অন্যান্য সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় দায়িত্ব; যার ভ্রান্তি ও অযোগ্যতা ব্যক্তিকে অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়। আর সেক্ষেত্রে ন্যায় বিচার কিংবা ইসলামী আইন-কানুনের মত সুষ্ঠু নীতিকে তারা ভয় পেতে বাধ্য হয়; যার পরিণাম বিরোধিতা করার মত হীনতায় পৌঁছে দেয় তাদেরকে। (মন্তব্য কিন্তু হিসেব করে--; এখনো শেষ হয়নি) পরের পর্ব পড়ুন ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।