যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
মানুষ চেষ্টা করে সব সময় সুন্দর জিনিস খুজে বের করতে - আর কিছু মানুষ আছে তাদের কাজ নোংরা ঘেটে আনন্দ খোঁজা। তেমনি আজ আশরাফ রহমান খুঁজে পেয়েছে এক অখ্যাত ভারতীয় চ্যানেলে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছে। খপাত করে ধরে ছুড়ে ফেললেন ব্লগে। সাথে সাথে চলে এলো ত্রিভুজ - যথারীতি পিঠ চাপড়ানো হলো।
বুদ্ধি হওয়া পর থেকে আকাশবানী কলকাতার রেডিওতে খবর শুনে বিরক্ত হয়েছি।
কারন ওদের নামের উচ্চারন - বিশেষ করে মুসলমানদের নামের বিষয়ে ওদের বিকৃতি করা একটা বদ খতের মতো হয়ে গেছে। জেনারেল ওসমানী কে যখন জেনারেল তামানী বলে তখন মাথায় রক্ত উঠা ছাড়া আর কিছু বাকি থাকে কি?
বিষয়টা হলো দৃষ্টি ভঙগীগত। ভারতীয়দের দাদাগিরি নতুন নয় - কিন্তু তাতে আমাদের খুব একটা ক্ষতিবৃদ্ধি আছে কি?
সমস্যা হলো যখন আশরাফ রহমানরা বলে - "ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলের এধরনের ভুল ও বিকৃত রিপোর্ট প্রচার সত্যিই উদ্বেগের বিষয়!"
এই উদ্বেগের কারনটা কি? একটা অখ্যাত টিভি চ্যানেল কি বললো তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের কি আসবে - যাবে, সেটা বোধগম্য নয়। এই খবর শুনে কি আশরাফুল খেলা ছেড়ে দেবে - নাকি বাংলাদেশের বোলাররা বোলিং লাইনে ভুল করবে? তাহলে উনার চিন্তিত হওয়া কারন কি?
পাঠক,আশরাফ রহমানের এই কঠিন গবেষনা এবং উদ্বেগের আসল কারনের কিছুটা ঈংগিত পাওয়া যায় উনার পরের মন্তব্য থেকে -
"মুক্তিযুদ্ধের কথিত সপক্ষের শক্তিরা খুব মনখারাপ করেন। দাদাদের অপকর্মকে তারা আশীর্বাদ হিসেবে নেন।
"
প্রশ্ন হলো, ভারতের একটা টিভি চ্যানেলের সাথে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কটা কোথা থেকে পেলেন সেটা বলেননি।
এখানেই আসলে রাজাকারীটা ফুটে উঠলো - রাজাকারদের আসল কাজই হলো - যেনতেন ভাবে ভারতের সাথে মুক্তিযুদ্ধকে মিশিয়ে একটা ধূয়া তৈরী করা। যে কোন ভাবেই হোক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা বিতর্ক সৃস্টি করা।
আশরাফদের এই ভন্ডামী মানুষ বুঝে গেছে - বেশীদূর যাওয়া যাবে না এই ব্যবসা নিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।