জন্মোপার থেকে পৃথিবী হয়ে অনন্তে >>> ©www.fazleelahi.com
আগের পর্ব পড়ুন । ইসলামই উন্নতির চাবিকাঠিঃ ভূখণ্ডের বেলায় যেমন বলা হয়- 'স্বাধীনতা অর্জন যত কঠিন, স্বাধীনতা রক্ষা করা তার চেয়ে বহুগুণ সুকঠিন'। তেমনি জাগতিক উন্নয়ণের বেলায়ও এমন কথাই প্রযোজ্য যে, 'উন্নতি সাধন যত সহজ, সেসবের সুবন্টন ও সুব্যবহার ততটা সহজ নয়'। অথচ বন্টন এবং ব্যবহারেই উন্নয়ণের সুফল রক্ষিত; গচ্ছনে নয়। যে কোন উন্নয়ণকে কিভাবে, কোথায়, কি পরিমাণ ব্যবহারের ফলে তার পরিপূর্ণ সুফল লাভ সম্ভব হবে, সে দিকনির্দেশনা দানই হচ্ছে জীবন ব্যবস্থা তথা ইসলামের কাজ।
অতএব, সার্বিক কল্যাণ অর্জন এবং ব্যাপক সুফল লাভের জন্য অনুসারীদেরকে দিকনির্দেশনা দানে ইসলামই একমাত্র পরিপূর্ণ ও কালোত্তীর্ণ জীবন পদ্ধতি; নিসন্দেহে।
কিন্তু এ কথা বর্তমান পৃথিবীর মানুষদের নিকট ইসলামের ঝাণ্ডাবাহীরা যেমন পৌঁছাতে পারছে না, তেমনি পৌঁছুতে দিচ্ছে না ইসলামের শত্রুরা। যারা পৌঁছাবে, তাদের মধ্যে রয়েছে অজ্ঞানতা, জ্ঞানের স্বল্পতাতেই সন্তুষ্টির প্রবণতা, গাফলতী থেকে শুরু করে স্ববিরোধিতার মত ভয়াবহ ব্যাধির মহামারী; তবে যাদেরকে আল্লাহ্ তৌফিক দান করেছেন, তারা ছাড়া। অন্যদিকে পৃথিবীর সকল ধর্ম, মতবাদ, তন্ত্রমন্ত্র থেকে নিয়ে রাজা-বাদশাহ-রাষ্ট্রপ্রধানগণেরও বিনিদ্র অন্তর নিরন্তর একটি শক্তির উত্থানের ভয়ে সদাসর্বদা কম্পমান; যার নাম 'ইসলাম'। কারণ, আবির্ভাবের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত জগতের বুকে ইসলামই সেই একমাত্র শক্তি, যার আগমন ঘটেছে অন্য সকল ধর্ম-তন্ত্রমন্ত্র-মতবাদের উপর বিজয়ী থাকার জন্য।
একথা সুস্পষ্ট যে, রাজ্যে অথবা রাষ্ট্রে এমন কোন শক্তি যদি বিদ্যমান থাকে, যার নিরবচ্ছিন্ন লক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত-অপ্রতিষ্ঠিত অন্য সকল ব্যবস্থাপনার উপর বিজয় লাভ করা, তাহলে তেমন কোন শক্তির বর্তমান ও ক্রমাগত প্রচার-প্রসার-উন্নতিতে কি করে শান্তিতে ঘুমুতে পারে অন্য কোন মতবাদের ধ্বজ্জাধারী অথবা অনুসারীরা? মূলতঃ বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুদের অতীত-বর্তমান সর্বশক্তি নিয়োজিত করে ঝাঁপিয়ে পড়ার পশ্চাতের কারণ এ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
অথচ যদি সকল উন্নয়ণকে ইসলামী বিধিবিধান অনুযায়ী বিলিবন্টন ও ব্যবহার নিশ্চিত করা যেত, তাহলে দুনিয়াবাসী আবারো সেই সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ দেখতে পেত যেখানে যাকাত গ্রহণের জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যেত না, যাকাত আদায়কারীগণকে দিনের পর দিন বসে থাকতে হতো যাকাতের সম্পদ নিয়ে; যদি গরীব এমন কাউকে পাওয়া যায় যে, যাকাত গ্রহণ করার মত ততটা সম্পদহীন। উল্লেখ্য যে, যাকাত ফরয হয় সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য কিংবা তার সমপরিমাণ অর্থ কারো নিকট এক বছর পর্যন্ত জমা থাকলে। সুতরাং উন্নয়ণে ইসলামী সমাজটা কি পরিমাণ সফলতা অর্জন করেছে; একবার ভাবুন তো!
(মন্তব্য কিন্তু হিসেব করে--; এখনো শেষ হয়নি)
পরের পর্ব পড়ুন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।