আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

@ সর্বযুগের সর্বাধুনিক জীবনপদ্ধতির নামঃ ইসলাম(৫)

জন্মোপার থেকে পৃথিবী হয়ে অনন্তে >>> ©www.fazleelahi.com

আগের পর্ব পড়ুন । বিরুদ্ধবাদীদের যুক্তি ও তার খণ্ডনঃ হালের ইসলাম বিরোধীরা ইসলাম সম্পর্কে সাধারণের মনে যে কয়টি সন্দেহের বীজ বপনের প্রাণান্ত সাধনায় লিপ্ত, তার মধ্যে একটি হলো 'ইসলাম বিজ্ঞানে উন্নতির সাধন করতে পারেনি'। অর্থাৎ, ইসলামে বিজ্ঞানী নেই, প্রযুক্তির দুনিয়া অনেক সামনে এগিয়ে গেছে, আর মুসলিমগণ এখনো বিবি-তালাকের ফতোয়া নিয়ে বিবাদে লিপ্ত ইত্যাদি। পূর্ববর্তী পর্বসমূহের আলোচনায় আমরা একথা সুস্পষ্ট করার প্রয়াস পেয়েছি যে, ইসলাম তথা জীবন ব্যবস্থা এবং জাগতিক উন্নয়ণ এক জিনিস নয়; বরং দু'টি ভিন্ন ব্যাপার। তবে হাঁ, এ দোষটি যদি জাগতিক উন্নতি-অবনতিতে জাতিগত পার্থক্য সূচিত করার জন্য দেয়া হয়, তবে তাতে বর্তমান মুসলিম জাতি পিছিয়ে; সন্দেহ নেই, কিন্তু ইসলাম ও তার বিধানের ঘাড়ে এ দোষ চাপানো মূর্খতা নয়তো কূটকৌশল বৈ নয়।

মূলতঃ জগতের উন্নতি ও তাতে নানাবিদ নব নব জিনিসের আগমন ঘটলেই ইসলাম সেসব সম্পর্কে তার অনুসারীদের জন্য বিধান দান করে থাকে। অর্থ দাঁড়াচ্ছে যে, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, সর্ব পর্যায়ের গবেষকগণ-তারা মুসলিম হোক আর অমুসলিম-যদি জগতের কোন ব্যাপারে উন্নতি সাধন করে কোন নতুন কিছু মানুষের সম্মুখে এনে হাজির করে, তখন তা গ্রহণে নৈতিক ব্যাপকতায় কি লাভ হবে আর বর্জনে কি ক্ষতি হবে অথবা আদৌ তা গ্রহণ করা ঠিক হবে কি না, সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দানই জীবন ব্যবস্থা তথা ইসলামের কাজ। আর কেউ তার (ইসলামের) নিকট কোন নতুন ব্যাপার হাজির না করলে অর্থাৎ, জগতে নতুন কিছুর আবির্ভাব না ঘটলে নতুন ব্যাপারাদিতে দিকনির্দেশনা দান সংক্রান্ত কোন কাজও তার (ইসলামের) থাকলো না, কেননা নতুন কোন কিছুর উদ্ভাবন করা কোন জীবন ব্যবস্থার দায়িত্ব হতে পারে না। এখন যদি কোন বিদ্বেষীজন এই দোষে ইসলামকে দোষী করে বসে যে, তার মধ্যে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক ও প্রযৌক্তিক জিনিসপত্রের আবিস্কার-সমাগম নেই কেন; তাহলে তাকে আপনি কি বলবেন? আপনার যে সম্পর্কে কোন দায়িত্ব নেই, সে সম্পর্কে যদি কেউ আপনাকে দায়ী করে জিজ্ঞেস করে বসে যে, অমুক কাজ আপনি করলেন না কেন? তখন তার সম্পর্কে আপনি কি ভাববেন, এবং তাকে তার এহেন অজ্ঞজনোচিত কিংবা কূটকৌশলী মনোভাবের জন্য কি আখ্যা দেবেন? অনুরূপভাবে যারা ইসলামকে হেয় করা ও ইসলামের সর্বাধুনিক হওয়া সম্পর্কে মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করা জাতীয় দাবী তুলে বলে যে, 'ইসলামে বিজ্ঞানী নেই, প্রযুক্তিগত উন্নতি নেই, তাই ইসলাম এযুগে অচল'; ঠিক সেই একই আখ্যা প্রজোয্য হয় তাদের জন্যেও। (মন্তব্য কিন্তু হিসেব করে--; এখনো শেষ হয়নি) পরের পর্ব পড়ুন ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।