আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

@ সর্বযুগের সর্বাধুনিক জীবনপদ্ধতির নামঃ ইসলাম(২)

জন্মোপার থেকে পৃথিবী হয়ে অনন্তে >>> ©www.fazleelahi.com

আগের পর্ব পড়ুন ইসলাম আসলে কি? মূলতঃ ইসলাম হচ্ছে মানবের জীবনকে পরিচালনা করার মত একটা সুষ্ঠু ও পরিপূর্ণ ব্যবস্থাপনার নাম। পৃথিবীতে বন্তুনিচয়ের অভাব নেই, রয়েছে অসংখ্য জাতের পদার্থ, রয়েছে অগণন প্রাণী-উদ্ভিদ। এতসব সীমাসংখ্যাহীন জিনিসের মাঝে আমি মানব এসে পড়লাম কিন্তু এসবে আমার কি কাজ, কোনটা গ্রহণ করবো আর কোনটাকে করবো বর্জন, কোনটা আমার দৈহিক ও নৈতিক ব্যাপারাদির ব্যাপকতায় উপকারী আর কোনটা ক্ষতিকর, কোনটার গ্রহণে আমার স্রষ্টা সন্তুষ্ট আর কোনটা গ্রহণে তিনি রুষ্ট, কার সাথে কিরূপ আচরণ করতে হবে, কাকে ভালবাসতে হবে আর কাকে ঘৃণা করতে হবে, কার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে হবে আর কিভাবে শত্রুকে চিনতে পারবো, কোন্ পথ ও পন্থায় আমার জীবনের প্রয়োজনসমূহ পূর্ণ করবো আর কোন্ পথ ও পন্থাকে বর্জন করবো, অর্থাৎ, মানবের ক্ষীণ নড়াচড়া-দৃষ্টিপাত থেকে শুরু করে যাবতীয় ক্ষুদ্রবৃহৎ সকল বিষয়ের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও নীতিমালা দানই হচ্ছে জীবন ব্যবস্থার কাজ। আর পৃথিবীর যাবতীয় ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সেসবের পরিপূর্ণ সমাবেশ ঘটেছে শুধুমাত্র ইসলামে; একমাত্র ইসলামে। অতএব ইসলাম আসলে কি, তা জেনে ও উপলব্ধি করেই তার আধুনিক কিংবা পুরাতন হবার ব্যাপারে কথা তোলা জ্ঞানীজনের কাজ হবে; অন্যথা হবে তার বিপরীত।

জীবনের সাথে জগতের সম্পর্কঃ সুমহান স্রষ্টা জীবনের জন্যই সৃষ্টি করেছেন এই সুবিশাল জগত সংসার; জগতের জন্য জীবন নয়। খুব ব্যাপকতায় না গিয়ে সীমাবদ্ধতার মাঝেই উদাহরণ টানা যায় যে, সৌরজগত ও তার বাইরের এযাবৎকালে যত গ্রহ-নক্ষত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার মধ্যে একমাত্র পৃথিবী নামক গ্রহটার পরিবেশ, জলবায়ু ইত্যাদি মানবসহ অন্যান্য প্রাণীকুল ও উদ্ভিদকুলের বসবাসের জন্য যোগ্য; অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রগুলোতে এমন ব্যবস্থা নেই কেন? কেন তাদের অবস্থান এমন সব নাজুক পর্যায়ে যে, সেখানে প্রাণের কল্পনাও করা যায় না? তা অবশ্যই এ কারণে যে, স্রষ্টা এই গ্রহে তাঁর সৃষ্টিকে লালনপালন করবেন বলেই পৃথিবীকে এত সুন্দর করে সাজিয়েছেন। সুতরাং এ থেকে স্পষ্ট যে, জীব তথা জীবনের জন্যই জগত। এবার আসা যাক জগতে মানুষ ছাড়া আরো যত উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল রয়েছে, তারা কার জন্য? সেটা বুঝার জন্য আরেকটি প্রশ্নের অবতারণা করতে হয় যে, মানুষ সহ পৃথিবীর সকল প্রাণ ও নিষপ্রাণের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশী কতর্ৃত্বশালী অথবা কার মধ্যে পরিচালনা, প্রতিপালন, অনুগতকরণ ইত্যাদি গুণাবলী বিদ্যমান রয়েছে এবং তা খাটিয়ে অন্যসব সৃষ্টিকে সে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখছে? এর জবাব হবে- অবশ্যই মানুষ। অতএব, একথা আর বুঝতে বাকী থাকার কথা নয় যে, অন্যান্য সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলও মূলতঃ মানুষের জন্যই মহান স্রষ্টা সৃজন করেছেন।

এ আলোচনায় পরিস্কার হলো যে, মানুষের সাথে জগত ও অন্যান্য জাগতিক বস্তুনিচয়ের সাথে সম্পর্কটা আসলে কি। (মন্তব্য কিন্তু হিসেব করে--; এখনো শেষ হয়নি) পরের পর্ব পড়ুন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।