আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আ ট্রিবিউট টু শাজনীন

আমার নিশীথরাতের বাদলধারা, এসো হে গোপনে, আমার স্বপনলোকে দিশাহারা

মানুষের জীবনে অদ্ভুত একটা অবদান আছে মৃত্যুর--মৃত্যু বয়স আটকে দেয় মানুষের। আজ তাই অবাক হয়ে দেখি, আঠারোতে কিছু করার স্বপ্ন দেখতাম যার কবিতা পড়ে সেই সুকান্ত এখনও একুশেই আটকে থাকে, মাঝের থেকে আমি বেড়ে উঠেছি। বাড়তে বাড়তে সুকান্তর চাইতেও বড় হয়ে গিয়েছি! সুকান্ত অনেক প্রভাব ফেলেছিলো বড় হবার সময়গুলোতে। "দীর্ঘ নয় তীব্র জীবন চাই"-কে বলেছিলো প্রথম? জানি না, কিন্তু সুকান্ত ভট্টাচার্য নিজেকে উদাহরন করে রেখে গেছেন এই শ্লোগানের। আজ কিন্তু সুকান্তর কথা লিখতে বসি নি।

যার কথা ভাবছি, সে অতি সাধারণ একজন। স্কুলপড়ুয়া কিশোরী--কুতসিত নির্যাতন আর মর্মান্তিক হত্যার পর পত্রিকার আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার লাইম লাইট হয়ে এসেছে যে আমাদের সামনে - শাজনীন। না, শাজনীন ঘটনার বর্ণনা, বিচার প্রক্রিয়া এসব কোন কিছুই লিখব না। গত নয় বছরে অজানা নেই আমাদের কোন কিছুই। আমরা পড়ি, আবার ভুলে যাই।

এরকম কত ঘটনা হরহামেশা ঘটে চলেছে আমাদের আশে,পাশে,সামনে,পেছনে। নতুন কিছু তো নয় এসব, আমরা কেন আর মাথা ঘামাবো? বরং ধনাঢ্য পরিবার বলেই হয়ত এত বছরের হাল ছাড়ে নি তার পরিবার, চালিয়ে যেতে পারছে বিচার-প্রক্রিয়া, দীর্ঘ নয় বছর ধরে। আজ শাজনীনের মৃত্যুবার্ষিকী। না না, আমি মনে করে বসে আছি, তেমনটা মোটেই নয়। পেপার দেখে মনে পড়লো।

আর হঠাত কেমন একটা ব্যথা বুকের মধ্যে-- ১৯৯৮, ১৫ বছর বয়স... বেঁচে থাকলে সে আজ আমার বয়সী হত! পৃথিবীর প্রতি তীব্র ঘৃণা আর অভিমান নিয়ে তোমাকে চলে যেতে হয়েছিলো। তোমার বয়স আটকে গেছে ১৫ তে, তুমি বড় হলে না, তুমি জানলে না পৃথিবীর ঘৃণ্যতম মানুষগুলোই সব নয়... এখনও মানুষ যে শাজনীনকে কখনো দেখেনি, জানে নি, সেই অচেনা ১৫ বছরের কিশোরীর জন্য প্রার্থনা করে, এখনো পৃথিবীতে ভালোবাসা বেঁচে আছে,বেঁচে আছে বন্ধুতা, বিশ্বাস কর! শাজনীন, আমার সেই ১৫ বছরের বিশ্বাসের জগত নাড়িয়ে দেয়া অচেনা বন্ধু - তুমি শুনতে কি পাও?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।