তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
জার্মানে একটি প্রবাদ আছে- April der macht was er will.প্রবাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কখনো তাপমাত্রা 28ডিগ্রী, কখনো 5 ডিগ্রী। তবে আবহাওয়া নাতিশীতুষ্র। ডেলাইটের পরিমান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এখন সন্ধ্যা হয় 20:30।
ধীরে ধীরে সেইটা আরও বেড়ে 22:30 হবে। এতো লম্বা দিন প্রথম প্রথম বেশ ভালোই লাগে। 10 ঘন্টা অফিস করে বাইরে বের হলেও দিনের সুর্যের দেখা পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছ ফুলে ভর্তি, পার্কের আনাচে কানাচে বিভিন্ন রকমের নাম না জানা ফুল। কালারও বিভিন্ন রকমের।
সবার বাসার বেলকনে ফুলের টব। সামারে সবচে বড়ো সমস্যা ঘুম। এমনিতে গরমে সমস্যা তার উপর সন্ধ্যা যেখানে হয় 22:30, ভোর হয় 5:00। ঘুমের পরিমান 5 ঘন্টা। কারো বাসায় পিচ্চি থাকলে তো খবর আছে।
সমস্ত জানালায় ভারী পর্দা টেনে দিনের আলো থাকতেই ঘুম পাড়াতে হয়। স্কূল কিংবা কাজের টাইম তো একই।
সপ্তাহের ছুটিগুলো কেটে যাচছে বেশ ভালোই। সামার আসলেই কোথাও না কোথাও কোন অনুষ্টান লেগেই থাকে। মেলা, বি.বি.কিউ, সুইমিং, বাইকিং, নদীর পাড়ে আড্ডা, একটানা আইসক্রিম খাওয়া।
গত ছুটিতে ছোট বোনকে নিয়ে টানা 2ঘন্টা সাইকেলে ঘুরা হয়েছে। দু'জনেরই মাউন্টেন বাইক। নদীর পাড়, লেকের পাড়, ফসলের মাঠ, সব মিলিয়ে প্রায় 12 কিলোমিটার বাইকিং। এই উইকএন্ডে 20 কিলোমিটার দৌড়ানোর প্লান। তবে ছোটবোনের জন্য স্পিড দিয়ে চালানো মুশকিল।
ভদ্রমহিলা পেছন থেকে ডাকাডাকি শুরু করে। আমি বলি গিয়ার বাড়াও। উনার নাকি পা ব্যথা করে।
বর্তমানে ডাক্তার হচ্ছে আমার কাছে মহা ঝামেলা। পেটে সমস্যার জন্য একবার ডাক্তারে গিয়ে এখন পর্যন্ত মাশুল দিচ্ছি।
আজকে এখানে টেষ্ট করাও তো কাল অন্যখানে। বিভিন্ন টেষ্টের আগে সকালে কোন কিছুই খেতে পারবে না। গতদিন একটা টেষ্ট করতে হলো। আমাকে বলে সবকিছু খোলে আসো। আমি বল্লাম ডাক্তার সাব, সেন্ড গিঞ্জি ও খুলবো।
বলে সব। কখনো খালি গায়ে থাকি না, কারো সামনে যাই না। যাওয়ার পর বলে পেন্ট ও খুলো। ভাবলাম হায় হায় । এ তো দেখি ইজ্জতের উপর হামলা।
বিরাট একটা x-ray মেশিনের উপর দাড়াতে বলে গ্লাসে ঘন দইয়ের মতো কিছু একটা খেতে বল্লো। পড়লাম মহা ঝামেলায়। অপরিচিত কিছুই খাই না। এমনকি পরিচিত দইও খাই না। মুখে দিতেই বমি আসতে চাইছিলো।
কিন্ত পেটে তো কিছুই নাই। সেই গতকাল বিকেল 7 টায় রাতের খাবার খেয়েছি। কষ্ট করে খাচ্ছি আর উনি এক্সরে করতেছেন। ডান-বাম করে মনে হয় 20/25 টা এক্সরে করে এবার ইনজেকশন পুশ করে আরও 20/25 টা এক্সরে। 5 মিনিটেই রেজাল্ট।
সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আমার প্রশ্ন তাহলে ব্যথা কেন? এইটা নাকি গেষ্ট্রিকের জন্য। মনে মনে ডা: কে গালি দেই। ধুর শালা এতো কষ্ট দিয়ে তুমি কিনা শেষ পর্যন্ত এই সামান্য অসুখ পেলে। মন আমার সায় দেয় না।
এবার অন্য ডা:। তবে এইটা কষ্ট হবে। গলা দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে নাকি দেখবে। ব্যাপার না। মাসে মাসে 350 ইউরো করে হেলথ ইনশোরেন্স কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
এখন শরীর ব্যথা করলেও ম্যাসেজ সেন্টারে গিয়ে টাকাটা উশুল করতে হবে ।
অফিস চলছে ঠেলাগাড়ির মতো। বস 5 জন। সবাই খুব ব্যস্ত। আমিও বসে বসে ব্যস্ততার ভান করি।
ব্লগ আর পেপার পড়া হয় কাজের চেয়ে বেশী। এই সুখ মনে হয় বেশী দিনের না। খুব শিঘ্রই রস বেরোবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।