শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত এক জনসভায়
সেলিম বলেন, পাঁচ বছরের মহাজোটের শাসন জনগণ দেখেছে। মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
“বিএনপি-জামায়াত খুশি। আগামী নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। জনগণ মহাজোটের আমলে ফুটন্ত কড়াইয়ে জ্বলছে।
জনগণ ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায় ঝাপ দিতে চায় না। এর দৃশ্যমান বিকল্প দরকার। ”
সিপিবি সভাপতি বলেন, “আওয়ামী লীগের শাসন খারাপ। বিএনপির শাসন তার চেয়ে বেশি খারাপ। এর বিকল্প গড়তে হবে।
”
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ধানাই-পানাই চলছে। গণজাগরণ মঞ্চকে নানা কৌশলে বন্ধের চেষ্টাও চলেছে।
আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে বলে- রাজাকারকে না বলুন। কিন্তু দুর্নীতিকে না বলতে চান না।
“রাজাকারকে ‘না’ হলে, দুর্নীতিকে ‘না’ নয় কেন?,” প্রশ্ন রাখেন তিনি।
ইসলামের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি করা দলগুলোর বিষয়ে সজাগ থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান সেলিম।
বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আপনাদের মাথা ব্যথার দরকার নেই। আমেরিকা মানবাধিকারের কথা বলে। একাত্তরে যুদ্ধের সময় তাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল। যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়েও তারা নাক গলাচ্ছে।
”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর এবং দুর্নীতি-সন্ত্রাস-গুম-খুন-লুটপাটের বিরুদ্ধে দুই জোটের বাইরে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল যৌথভাবে এ জনসভার আয়োজন করে।
সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মৃণাল চৌধুরী সভাপতিত্বে অতিথির বক্তব্যে বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, শাসক দলগুলোর মধ্যে বছরের পর বছর ধরে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটপাটের প্রতিযোগিতা চলছে।
“দ্বি-দলীয় দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের বিপরীতে বাম-প্রগতিশীলদের নেতৃত্বে জনগণের বিকল্প সংগ্রাম শক্তি গড়ে তুলতে হবে। ”
সভায় অন্যদের মধ্যে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহ আলম, বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন ও সিপিবি জেলা সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য অশোক সাহা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে শেষে লালদীঘি মাঠ থেকে একটি মিছিল বের হয়।
মিছিলটি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
সভা থেকে ৭২-এর সংবিধানের বিকৃতি দূর করা, জনগণের বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন, শ্রম আইন-২০১৩ বাতিল, টিকফা চুক্তির পরিকল্পনা বন্ধ করাসহ ২০ দফা দাবি জানানো হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।