তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
আমার সবচে সবচে সুইট বোনটাকে নিয়ে কখনোই কোন খেলা দেখতে পারিনি। শুধু পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত। কোথায় কোন বিতর্ক প্রতিযোগিতা,গনিত প্রতিযোগিতা সব কিছুতেই উনার উপসহিতি। মায়ের পেঠের বোন না হলে ও নিজের বোনের থেকে প্রিয়।
2 বছর পুর্বে দেশে গিয়ে ওর অবসহা দেখে আমি তো সামনাসামনি কেদেই ফেলেছিলাম। বইগুলো ছুড়ে ফেলে বলেছিলাম পড়তে হবে না। আগে বেচে থাকো তারপর পড়াশোনা। গান শেখা, কবিতা আবৃত্তি সব কিছুতেই উনার আগ্রহ। আর আমি ছিলাম সেই সব কিছুর যোগানদাতা।
S.S.C তে গোলেডন স্টার পেয়ে সে কি অবসহা। আমি জার্মানি থেকে ও উত্তাপ টের পাচ্ছিলাম। পরীক্ষার আগে উনার টেনশন দেখে আমরা সবাই শংকিত। পরীক্ষা শেষ হলে বলে কি পরীক্ষা দিয়েছি কিছুই মনে নেই। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যায়।
নিজের জন্মতারিখ মনে থাকে না। উনারটা ও ভুলে গিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। ফোন করে ধুম ঝাড়ি। ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর দেখি উনি sms করে বাংলাদেশের জন্য দোয়া করতে বলে। আমি একটু টাশকি খাই।
ঘটনা কি? যেখানে দেশে একা একা সারা রাত বসে ক্রিকেট, ফুটবল ম্যাচ আমাকে একাই দেখতে হতো। উনার কোন ইন্টারেষ্টই ছিল না,সেই কি না আমার কাছে বাংলাদেশ দলের খেলার প্রশংসা করে। অফিসে সাধারনত 1st ইনিংস মিস হয়। 2য় ইনিংস পুরোটাই বাসায় এসে দেখি। টাইমিং ভালোই এখন পর্যন্ত।
মাঝে মাঝে অফিসে থাকতেই দেশ থেকে এস.এম.এস করে আপডেট জানানো হতো। রাত করে দেশেsms পাঠাতাম না। ভাবতাম দেশের মানুষ তখন প্রায় সবাই ঘুমে অচেতন। শুধু মাত্র কিছু খেলা পাগল লোক জেগে খেলা দেখছে। খেলা শেষ হতে বাংলাদেশ সময় রাত 3টা।
আর আমার পড়া পাগল বোনটি তো তখন সবার মতো গভীর ঘুমে । গতকালের ম্যাচ শুরু থেকে ম্যাসেজ পাঠানো শুরূ। 1ম ইনিংস পর আমার শ্রদ্ধেয় বোন একটি ম্যাসেজ পাঠান "see hw powerful our players are.now its ur turn plz pray 4 a victory"। আমি তো পুরো পাংখা । দেশে নাকি বাসার সবাই খেলা দেখছে।
খেলা শেষে মা বাবা সবাই মিলে হালকা চিল্লানো হলো। দেশ থেকে sms "1 thing 4 sure, our plaxer r 'BAGHER BACHA' okay, congrats 2 all da bangali guys in d whole universe"। মা বলে -আচ্ছা তুই তো নিজেই একটা খেলা পাগল। বোনটাকে ও ঐ রকম বানাচ্ছিস। বলি দেখতে হবে না কার বোন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।