খুব গোলমেলে, নিজেও ভাল জানি না। তবে আছে,এই ঢের।
কবেকার এক ছোট্ট বার্তা ভেসে ওঠে চোখের সামনে, সেলফোন না খুলেই,
'প্রজাপতি হয়ে ওঠো!'
আর সত্যি সত্যিই আমি প্রজাপতি হয়ে উঠি!
উড়ে উড়ে বেড়াই এঘর থেকে ওঘরে।
আয়নায় নিজেকে না দেখেও বুঝতে পারি,
আমাকে কী সুন্দর লাগছে আজ!
গোছানো ছিমছাম হয়ে ওঠে আমার অগোছালো ঘর দোর।
হাতে উঠে আসে তাকে তুলে রাখা প্রিয় বই।
গেয়ে ওঠেন ফিরোজা বেগম,
মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম
যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির পরে
মোরা আর জনমে হংসমিথুন ছিলাম।
আর গাইতেই থাকেন একের পর এক গান। আমার জন্যে। শুধু আমারই জন্যে।
খানিকটা কী মন খারাপ হয় গোলাম আলীর!
তা বোধ হয় হয় না! কী জানি!
এখন আমার মন ভাল।
আমি তাই উড়ে উড়ে বেড়াই। এই ঘরময়।
বারে বারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নেট সংযোগের চেষ্টা করেই যাই, অক্লান্ত।
বাইরে ঝকঝকে রোদ্দুর।
ন্যাড়া ডালে ডালে টকটকে লাল পলাশ।
জামগাছ জুড়ে মুকুল।
পাতা দেখা যায় না। ডাল দেখা যায় না।
শুধু জামের মুকুল।
যেন ফুলেরা ফুটে আছে থরে থরে...
জামগাছময়...
নদীর ধার ধরে জেগে থাকে এক চর।
বাঁধানো রাস্তা চলে গেছে নদীর তীর ধরে। বহুদূর।
রাস্তা আর চরের মাঝেও নদী, খালের মত দেখতে।
হাঁটুজল সেই খালের মত দেখতে নদীতে।
গুরুরা দিব্যি হেঁটে, সাঁতার কেটে পেরিয়ে যায় খালের মত দেখতে এই নদী।
চলে যায় চরে। কচি সবুজ ঘাসেরা যেখানে বিছিয়ে আছে চর জুড়ে।
মানুষেরা পারে না। জলে নামলে যে কাপড় ভিজে যাবে!
মানুষেরা রাস্তার ধারে বসে নদী দেখে।
নদীর ধারের চর দেখে।
আর দেখে খালের মত দেখতে সেই নদীকে।
আমিও বসে থাকি রাস্তার ধারে, খালের মত দেখতে নদীর পার ঘেঁষে।
তারপর উঠে নেমে যাই জলে।
খালের মত দেখতে নদীর জলে।
হেঁটে, সাঁতরে পেরিয়ে যাই ছোট্ট এই নদী।
যাকে দেখতে একদম খালের মত।
উঠে যাই চরে।
চওড়া ফিতের মত চরে বিছিয়ে আছে সবুজ ঘাসেরা।
কোমল স্পর্শ পাই পায়ের পাতায়।
আমার পায়ের পাতায় হাত বুলিয়ে দেয় প্রকৃতি।
এগিয়ে যাই চরের শেষ মাথায়, নদীর পারে।
বসে থাকি চুপচাপ।
গেয়ে ওঠেন ফিরোজা বেগম,
তুমি কী এখন দেখিছ স্বপন।
আমারে। আমারে।
আমারে।
আধোরাতে সেথায় উঠেছে কী চাঁদ
আধারে...
এর আগেও আিগ ব হুবার এসেছি এই চরে।
জল ভেঙ্গে যেতে হয় সেই চরে।
তবে কখনও একা আসিনি।
তুমি ছিলে সবসময়েই সাথে।
এখানে, এই নদীর ধারে এলেই তুমি বড় চুপ হয়ে যাও।
তোমার কি মন খারাপ হয়!
মনে কী পড়ে ছেলেবেলার কথা!
আমার মন ভাল হলে আমি তোমার সাথে নদীর ধারে আসি।
বর্ষায়। শীতে। আর বসন্তে।
বসে থাকি রাস্তার ধার ঘেঁষে।
নদীর ধারে।
সে প্রেমের ঘাটে ঘাটে বাঁশি বাজায়...
এ পদ্মা নয়।
খানিকদূর এগিয়ে গিয়েই যদিও পদ্মা হয়ে যায়।
তবে কী এও পদ্মাই!
মন ভাল হলে গঙ্গা আর পদ্মা এক হয়ে যায়।
রাস্তার ধার ধরে চুপ করে বসে থেকেও আমি হেঁটে সাঁতরে পেরিয়ে যাই খালের মত দেখতে ছোট্ট নদী। কচি সবুজ ঘাসের কোমল স্পর্শ নিয়ে পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই চরের শেষ মাথায়। বসে পড়ি জলের ধার ঘেঁষে।
বসেই থাকি...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।