আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আ জার্নি বাই চান্দের গাড়ী- আজমিরীগঞ্জ



হবিগঞ্জ থেকে আজমিরীগঞ্জ যাবো। সবাই বলে ভয়ানক রাস্তাঘাট , একবার গেলে নাকি আর ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। নিজের ইষ্টিমিনার ওপর আমার প্রচন্ড বিশ্বাস। যাত্রা শুরু হল। হবিগঞ্জ থেকে বানিয়াচং।

বানিয়া চং থেকে সেই চান্দের গাড়ী। সিলেটী ভাষাটায় একটা আন্তরিকতা আছে। এবং এতদঞ্চলের লোকজন বেশ রসিক। গাড়ীতে আমরা সর্বমোট 22 জন মত যাত্রী। গাড়ীটা নিঃসন্দেহে মান্ধাত্বার মার আমলের।

যাত্রা নিয়ে লোকজন খুব মজা করতাসিল। কেউ আল্লাহ রসুলরে ডাইকা লইতেসিল। শুরু হলো যাত্রা। যাত্রা শুরু হবার সাথে সাথে গাড়ীর পেছনে একটা ধুলো নিরোধক পর্দা দুইজন বেজার মুখে ধইরা আছে। হায় হায়!!!!!!!!!!!! আল্লাহ তুমি রক্ষা কইরো মেইন রোড থেইকা যেই গাড়ীটা ধুলোমাখা কাচা রাস্তায় যাইয়া পড়ে দেখি রাস্তাতো না গিরিখাত।

আর ধুলোর রাজত্ব। নাক টাক চেপে মেয়েরা আত্মরক্ষা করতে সচেষ্ট। কিন্তু ধুলো তার আক্রমনের কায়দা জানে। একপাশে বাধ অন্য পাশে চিরচিরা লম্বা খাল। মাঝখানে কোনো প্রকার একটা গাড়ী যাওনের জায়গা।

গাড়ীর দুইটা চাকা বাধের ওপর, কাত হয়ে চলে। কইলজার পানি শুকাইয়া যায়। এভাবে দীর্ঘ দুইঘন্টা পর আজমিরীগঞ্জ পৌছি। তবে আনন্দও কম না। বিস্তীর্ণ মাঠের ভেতর দিয়ে ধুলো উড়িয়ে গাড়ীটা যখন যাচ্ছিল মাঠের মইধ্যে খাষ খাওয়া মেষ ছাগল গুলোর দৌড়ে অদ্ভুদ এক ধুলোর জগত তৈরী হয়।

মনে হয় কোনো মহাজাগতিক ধুলোর জগত। শেষে কাজ সেরে আবার আট মাইল লক্করঝক্কর পথ পাড়ি দিয়ে বানিয়াচং হয়ে হবিগঞ্জে ফিরে এসে সতীর্থদের মইধ্যে যখন উদয় হই। তারা মানে আসলে তুমার মিয়া এনারজি অন্যরকম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।