বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..
পদ্মা-মেঘনা-যমুনার সেই প্রমত্তা রূপ আর নেই
চর পড়ে এখন বালি বিকিকিনির বাজার,
সেখান থেকে ধেয়ে আসা এক লু হাওয়া
গত সন্ধ্যায় যখন হানা দিল আমাদের চাতালে,
তখনই তুমি আর আমি সিদ্ধানত নিলাম
বাকী জীবন আমরা পরস্পর
ছুরি মারামারি খেলেই কাঁটাবো।
আমার গায়ে জোর ছিল বেশি, ছুরিটাও লম্বা
আর ধারালোতো বটেই।
আমিই শুরু করলাম আক্রমন
তোমার ছুরি ধরা হাতটা বা হাত দিয়ে
শক্ত করে চেপে ধরে,
ইচ্ছামত ফালাফালা করলাম তোমাকে।
তোমার পেটের ফাক দিয়ে নাড়ী দেখা গেল
আর হাত-পা-ঘাড়-পিঠ-উরু-জঙ্ঘা
সবই রক্তাক্ত ভীষণ রকম।
আর আমার বেখেয়াল ফালাফালির
ছোট্ট একটা ফাক গলে
তোমার বাঁকানো ছোট ছুরিটা
সিপলো একেবারে জায়গামত; আমার হৃৎপিন্ডে।
বছর দুয়েক পর আবারো আমরা
মুখোমুখি হলাম।
আমি তোমার গায়ের গন্ধ পাচ্ছিলাম
তোমার কাপড়ের খসখস শব্দও শুনতে পাচ্ছিলাম,
কিন্তু দেখতে পাচ্ছিলাম না।
পাওয়ার কথাও নয়, কারণ
তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে আমার কবরের পাশে,
একগুচ্ছ উজ্জ্বল গ্লাডিওলা হাতে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।