সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
এনডিটিভির উই দি পিপল অনুষ্ঠানে মেধা পাটকর খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইসু্য তুলেছিলেন। ওইখানে উপস্থিত সিভিল সোসাইটির অনেকেই ছিলেন শিল্পায়নের প। ে তারা হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করছেন কিন্তু চাচ্ছেন আলাপ-আলোচনা ও সঠিক নীতির ভিত্তিতে শিল্পায়ন হোক। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব।
পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ যেখানেই একরের পর একর জমি নিয়ে কারখানা গড়ে তোলা হবে সেখানেই কৃষিজমি দখল করতে হবে। গ্রাম উচ্ছেদ করতে হবে। কৃষক জমি হারাবে, কাজ হারাবে, বিপন্ন হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তো আর কৃষকের জমি আর কারখানা একসাথে রাখা যাবে না। এটা সাংঘর্ষিক।
পরস্পরবিরোধী বিষয়। ফলে, কারখানা তৈরি করতে হলে কৃষককে উচ্ছেদ হতেই হবে। কিন্তু কৃষক কেন কারখানার জন্য তার জমি ছাড়বে? রাষ্ট্রই বা কেন কৃষককে জমি ছাড়তে বাধ্য করবে? কৃষক যদি বোঝে কারখানায় তার কাজ মিলবে। এ জমি গেলেও অন্য জমিতে উৎপাদিত শস্যে তার পেট ভরবে। অথবা কারখানাটা কৃষিভিত্তিক তবে না সে কিছুটা আস্থা পাবে।
কিন্তু মালটিন্যাশনালরা যে কারখানা তৈরি করতে উৎসাহী তাতে কর্মসংস্থান হবে না। উৎপাদিত পণ্যের সাথে স্থানীয় বাজারের সম্পর্ক থাকবে না। কাঁচামালও স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হবে না। জমি উচ্ছেদ করে সুগার মিল বসালে এক কথা, মোটর গাড়ি স্থাপন করলে আরেক কথা। কিন্তু আমাদের মুর্খ কর্তারা সাবাইকে মুর্খ বানানোর জন্য বলতে থাকেন, বিনিয়োগ আসছে।
কোন বিনিয়োগ কিসের বিনিয়োগ কী শর্ত, পরিবেশের ওপর প্রভাব কী কিচু নিয়ে আলোচনার দরকার নাই। টাটা আসছে জমি দাও। যা চায় তাই দাও। যে শর্তে চায় সে শর্তেই দাও। কেন?
টাটা আমাদের দেশেও বিনিয়োগ করবে।
ভারতের কোম্পানি ন া হলে এতদিনে তারা গেড়ে বসতে পারতো। পারে নি তাতে কী? পারবে। পারানো হবে। সেেেত্র নন্দীগ্রামের অভিজ্ঞতা আমাদেরও কাজে লাগতে পারে।
মেধা পাটকর বলছিলেন, বজুজাতিক তোষণের শিল্পায়ন নীতিটা আসলেই গ্রহণযোগ্য নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।