কেমন আছেন? অনেকদিন পর আবার লেখার সুযোগ হলো। গত পোষ্টে শরাফত আলীর পুথি শোনাব বলেছিলাম। আগে তাই শোনাই-
(প্রথমে কিছুটা অস্পষ্ট, বুঝতে পারিনি)
ঢাকা শহর ফেইল্যা তারার বাড়ি ঘর
ভক্তের গুনে দেখতে আইল উয়ারীর শহর
উয়ারী শহরে আইস্যা তারা কোন কাম করিল
সাদা টুপি মাথাত দিয়াউয়ারী আইল
উয়ারী আইয়া তারা এদিক ওদিক চায়
দেবেন্দ্রর বাড়ি তারা সবাই যায়
দেবেন্দ্রর বাড়ির দক্ষিণ দিকে মাইনষে গাতা করে
10 হাজার মাইনষে গাতা করে
5 হাজার মাইনষে তোলে
2 হাজার মাইনষে চালন দিয়া
টানিয়া টানিয়া চালে
চালিয়া টালিয়া তারা কোন কাম করিল
আশ্চার্য হইয়া তারা খাতা লেখিল
খাতা লেখিয়া তারা কোন কাম করিল
ক্যামেরাডা লইয়া তারা ফুডো তুলিল............
কতো জাতের ফুডো যে আয়নার ভিতরে থুইল
সাইনবোর্ড তারা তবে গাছে গাছে দিল........
এভাবেই বলতেই থাকেন এই আশি বছরের বৃদ্ধ শরাফত আলী। খনন কাজের প্রায় পুরো প্রক্রিয়াটাই তিনি লক্ষ্য করেছেন মনোযোগের সাথে এবং তার পুথিও গেথেছেন সেভাবে। বুকে দম নেই, বেশীরভাগ শব্দই বোঝা যায় না। তারপরও অপরিিচত আমাদের নিয়ে তার যে অসীম আগ্রহ তারই প্রকাশ। উয়ারী বটেশ্বর অঞ্চলের আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা উম্মোচনের খননকর্মে অংশ নিতে পেরে সত্যিই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষের ভালোবাসা সত্যিই অকৃত্রিম।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।