শনিবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “তরুণ রাজনীতিবিদ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেন, তাহলে আগামীতে দেশ কোন দিকে যাবে তা বুঝতে কারো বাকি নেই। ”
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব শুক্রবার মতবিনিময় সভায় জয়ের দেয়া বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
রিজভী বলেন, “সজীব ওয়াজেদ জয় যেসব বক্তব্য রেখেছেন তা ডাহা মিথ্যা। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের শেখানো বুলি আউড়ে যাচ্ছেন।
“জয় অসমাপ্ত বিপ্লব সমাপ্ত করার জন্য আবারো জনগণের সমর্থন চেয়েছেন।
কিন্তু আমাদের প্রশ্ন- এজন্য আর কত ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ রাজনৈতিক কর্মীদের গুম হতে হবে। প্রতিদিন খুন, গুম, হত্যা চলছে। এটা চালু রাখার নাম কি বিপ্লব?”
নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় ‘সফলদের’ সঙ্গে শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়। গত পাঁচ বছরে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি আগামীতে আবারো ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ কী কী করতে চায় তার বিবরণও দেন তিনি।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হবে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ থেকে ৮-১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে।
এ বিষয়ে রিজভী বলেন, “জনগণের উন্নয়নের কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলেও সরকার তার গোপন অ্যাজেন্ডা ঠিকই বাস্তবায়ন হয়েছে। ট্রানজিট থেকে শুরু করে সব কিছু তারা বাস্তবায়ন করেছে। ”
‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ শতাংশ হয়েছে’- জয়ের এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, “জয়ের এই বক্তব্যের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দেয়া বক্তব্যের মিল নেই।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ এর কাছাকাছি। বিশ্ব ব্যাংক বলেছে সাড়ে ৫ শতাংশ। এনজিওগুলো বলেছে পৌনে ৭ শতাংশ। কিন্তু প্রঘধানমন্ত্রীর পুত্র বলছেন সাড়ে ৬ শতাংশ। ”
“২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ওয়াদা করেছিল ২০১৩ সালের মধ্যে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
”
‘বিএনপির আমলে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল’- প্রধানমন্ত্রী পুত্রের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, “জয়ের এই বক্তব্য সঠিক নয়। ‘৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ১ নম্বর হয়েছিলো। পদ্মাসেতু দুর্নীতির কেলেঙ্কারীর ঘটনা বিশ্বব্যাপী সবাই জানে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল (টিআইবি) সম্প্রতি বলেছে, বাংলাদেশ দুর্নীতিতে আগে যে অবস্থানে ছিল এখনো সেখানেই আছে। ”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে দলের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানা উল্লা মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ শিল্প বিষয়ক সম্পাদক শাহাজাদা মিয়া, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।