অফিস টফিস বন্ধ। আজকে একুশ। যদিও এখন একুশ আগের মতন স্পন্দন জাগায় না। দিনের দিকে ফাকা থাকতে পারে মনে কইরা গেসিলাম বইমেলায়। বাঙ্গালী আজো লাইনে দাড়ানো শিখল না।
যার যেখানে খুশী ঢুকে যাচ্ছে। পিছের জন চিল্লায়। দুই তিন পাক ঘুরলাম। ধুলা বালির যন্ত্রনা। ঘুইরা টুইরা যা অভিঙ্গতা হইল।
তাতে মনে ব্যথা পাইলাম। মনে হইল আসলে এটা হুমায়ুন, মিলন, জাফর ইকবাল সিন্ডিকেটের বইমেলা। বটতলা লিটল ম্যাগ চত্বরে দেখি কিছু পোলাপান বেজার মুখে বইসা রইছে। খোদা তুমি তাদের রহম করো। দিনে একটা বইও তাদের বিক্রি হয় কিনা কে জানে।
কেননা তাদের কোনো বিজ্ঞাপন নাই। তাদের কোনো জ্ঞাপন নাই। পত্রিকা খুল্লেই খালি চোখে পড়ে ঐ সিন্ডিকেটের বই পত্রের বিজ্ঞাপন। মিলনের ,তুমারে আমি খাইতে চাই, জাতীয় বইয়ের চকচকে বিজ্ঞাপন, আর হুমায়নের ঐ রাসকলনিকভের নকল হিমুর বিয়া, টিয়া আর জাফর ইকবালের বিদেশী সায়েনসফিকশনের আলোকে লেখা ফিকশনগুলো। আর আছে ভট্ট, নাসরিন জাহান, আসলাম ফাসলাম।
চিন্তা জাগানিয়া বইয়ের অভাব অনুভুত হয়। বাংলা একাডেমী নামের ভূতদের যে প্রতিষ্টান টি আছে সেটার মধ্যে ঢুইকা দেখি কবেকার আজে বাজে ছেড়া বই পত্র লইয়া বইসা আছে কয়েকজন। চমস্কি আর ফুকোরে লইয়া কয়টা বই দেখলাম। অসম্পুর্ন ধরনের প্রবন্ধে বই গুলো ঠাসা। আহা বইমেলার এ আধার কাটবে কবে????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।