[রং=রহফরমড়]ভাবনার ডানা মেলে উড়ছি আমি [গাঢ়]আনাড়ি[/গাঢ়][/রং]
মোড়ের কাছের ফুয়াদের ডাইলপুরী পাড়ায় বিখ্যাত। সব ধরনের লোকজন সেখানে যায় না। সবার ধারনা বখে যাওয়া পোলারানের আখড়া ওটা। বাসায় ওখানকার খাবার গুলো মোটামুটি নিষিদ্ধ। অবশ্য জানতে না পারলে খেয়েদেয়ে প্রশংসায় সবার পাঁচটা করে মুখ বের হয়।
আমাকে বিকালে খাবার কিছু আনতে বলা হলে আমি ওখান থেকেই আনি। সেটা জানার পর সহজে আমাকে কিছু আনতে বলা হয় না।
আজ বাবা-মা বাসায় না থাকায় চান্স পেলাম ওখানে যাবার। আমার বাড়িটা পাড়ার একটু বেশী ভিতরের দিকে হওয়ায় হেঁটে আসতেও কয়েক মিনিট লেগে যায়। মাগরিবের আযানের কিছু পরে গেলাম।
মোটামুটি অন্ধকার হলেও চুলার আগুনে বেশ আলোকিত হয়ে থাকে জায়গাটা। আজ চুলায় আগুনটাও কেমন মিইয়ে গেছে। ভেতরে বসার একটাই বেন্চ, তাতে অন্য সময় বসার জায়গা পাওয়া যায় না কিন্তু আজ একদম ফাঁকা বসে সেখানে একটা সিগারেট ধরালাম। এটাই আমার এখানে প্রধান গুলোর একটা। মুরব্বীরা সাধারনত কেউ এখানে আসে না।
মনের আনন্দে বিড়ি টানা যায়। রোজকার মত আজকেও ভিতরের কোণার স্ক্রু ঢিলা লিকটা বসে বসে ঝিমুচ্ছে। আমি গিয়ে বসার পর সে একটু নরে চড়ে উঠল। আমার সাথে কোনদিন কথা বলে না। আজ বলল।
আমি একটু হকচকিয়ে গেলাম কথা শুনে। বেশ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। আমাকে বলব, "একটা ডালপুরী দেবেন?" মনটা ভালছিল তাই একটা দিলাম। আমাকে আবার বলল, "ভাই, আমার কাছে একটা ভুত আছে আপনে নেবেন। আপনাকে কোন সমস্যা করবেনা।
শুধু খেয়াল রাখবেন। তাকে নিয়মিত গল্প পড়ে শুনাতে হবে। যেকোন রকমের গল্প শুনালেই হবে। তবে গোয়েন্দা টাইপ গল্প শুনতে পছন্দ করে। মরার আগে এমসিক্সটিনে কাজ করত তাই।
"
মজা করার জন্য বললাম তাই নাকি।
বলে ভাই বিশ্বাস করেন এতে কোন ভেজাল নাই।
তাকে আর কিছু বললাম না। পেট পূজা সেরে বাসায় চলে আসলাম। বাসার গেটের দরজায় দাড়াতেই আপু দরজা খুলে দিয়ে বলল, এতবার কলিংবেল টিপসিছ কেন?
আমি বললাম কই একবারওতো টিপি নাই।
আমার দিকে শ্যেন দৃষ্টি হেনে আপু ওর ঘরে চলে গেল। আমিও বেশ অবাক হয়ে আমার ঘরে আসলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।