আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জলিল-বর্ষার অনুপস্থিতি: একটি জাতীয় বঞ্চনা

আমি স্বপ্ন দেখি একদিন বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে জলিল ভাইয়া আর বর্ষা ভাবি-র একখানি সাক্ষাৎকার দেখিবার আমার সৌভাগ্য হইয়াছিল বিগত সপ্তাহে (Independent Television)। প্রশ্নকারী যথেষ্ট রসিক; আর বর্ষা ভাবিও বেশ সতর্ক। জলিল ভাই অবশ্য এইসবের ধার ধারেন না; জলিলীয় “ইস্টাইলে” তিনি সকল প্রশ্নের সপ্রতিভ জবাব দিয়া যাইতেছিলেন। কথা প্রসঙ্গে আসিলো বি.পি.এল.-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উনাদের যোগদানের বিষয়…। সেই সুযোগ লুফিয়া নিয়া জলিল ভাইয়া বলিলেন উক্ত সময়ে তাঁহাদের কোন্ রাষ্ট্রে কী কী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা চুড়ান্ত রহিয়াছে, এবং সেই হেতু উনারা বি.পি.এল.–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পূর্বে কোনরূপ মহড়া করিতে পারিবেন না।

ফলশ্রুতিতে ভারতীয় কলাকুশলীবৃন্দের ন্যায় তাহাদের নৃত্য মানসম্পন্ন হইবে না। তদুপরি, জলিল ভাইয়া এরূপ কিছু করিতে আগ্রহী যাহা পৃথিবীতে কেহ কস্মিনকালেও দেখে নাই। তাহা কীরূপ? তিনি সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে “হ্যাংগিং হয়ে” “ইস্টেজে” আবির্ভূত হইবেন; অবতরণের পূর্বে তিনি হেলিকপটারে ঝুলন্ত “অবস্তায়” ঘুরিয়া ঘুরিয়া দর্শকবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানাইবেন এবং অত:পর “ইস্টানম্যান”দিগের ন্যায় তিনি ঝাঁপাইয়া “ইস্টেজে” অবতরণ করিবেন; এবং উক্ত সময়ে মঞ্চে “পরচুর ফায়ারিং” (সম্ভবত: বাজি/পটকা অথবা অগ্নি-সম্বলিত কোন প্রদর্শনী) হইবে। এরূপ দৃশ্যের অবতারণা হইবে, যাহা বিশ্ববাসী নিষ্পলক দেখিতে থাকিবে, এহেন পরিকল্পনা ছিলো মহানায়ক অনন্ত জলিলের। পরিতাপের বিষয়, বি.পি.এল. কর্তৃপক্ষ তাঁহার এই প্রস্তাবনায় পূর্ণ সম্মত হন নাই এবং জাতি এক বিরল দৃশ্য অবলোকন হইতে বঞ্চিত হইলো।

বরং অব্যবস্থাপনাময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে বি.পি.এল.ওয়ালারা বিস্তর “গণ-পঁচানী” খাইলেন… আরো জানিতে: http://online-dhaka.com/newsarchive/nt/22/bpl/ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।