এখানে নীল জল টলমল করে,এখানে নীলের ছায়া পড়ে
। সমবয়সী না হলেও বন্ধুর মতোই। কতো কিছু নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করেছি এক সাথে বসে। কতো দেশউদ্ধার করা হয়েছে। কতো মানুষের মুন্ডু চটকানো হয়েছে।
সে আত্মিয় চাকরী পেলেন রোডস এন্ড হাইঅয়েস এ ইনজিনিয়ার হিসাবে। বছর কয়েক পরে এমনি এক আলোচনা পর্বে খুব অপ্রিয় কথা টা জিগ্গেস করে ফেললাম।
"আপনি কি ঘুষ খান"?
যদিও তার চাল চলনে খুব পরিবর্তন আসেনি,পরিবর্তন হয়নি জীবন যাপনে,তবু জিগ্গেস করলাম।
কিছুসময় নিল,তার পর বল্ল,যদি বলো ঘুষ খাই তাহলে ঠিক ঠিক বলা হবে না,আবার যদি বলি না খাই না তাও ঠিক না। যখন দেশের বাজেট হয় তখন ই আমরা বলতে পারি এই বছর কতটাকা এক্সট্রা পাচ্ছি।
এটা শুধু আমি না,দারোয়ান থেকে সবাই। কেউ ঘুষ চায় না,এটা প্রাপ্যের মতো।
ঠিক একই ঘটনা খাটে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এ। আমার দূর সম্পর্কের মামা ,পুলিশে কাজ করে শুধু নিজের নামে কেস খাইলো। কারন সে কখনও কারো অন্যায় প্রশ্র য় দিতে পারে নি।
বিভিন্ন সময় নিজে অন্য পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এখন ও টিকে আছে কি না জানি না....অনেক দিন যোগাযোগ নেই।
এই রকম বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সব জায়গা প্রায় একই রকম,প্রথম ঘটনার মতো।
এখন দূর্নিতি দমন হবে, দূর্নিতীবাজ চাকুরের কঠিন সাস্থি হবে। কিন্তু কারা ধরবে? কারা সাস্থি দিবে? যারা দিবে তারা দূর্নিতীর বাইরেতো!!!!নাকি তারা ও এর মাঝে।
এর থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ,এই ঘুষ নামক নেশা থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ,এর বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনাতা গড়ে তোলা উচিৎ,সাস্থি দেবার আগে ভেবে দেখা উচিৎ কেন মানুষ এই কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অধুকাংশ ছেলে মেয়ে ই ঘুষ নেয়ার কথা চিন্তা করে না,অথচ খুব স হজে খুব কম সময়ে মানুষ গুলো বদলে যায়....কেন যায় এটা খুজে বের করতে হবে,
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।