পথিক, তুমি কি পথ হারাইয়াছো?
মোহাম্মদপুর (রায়ের বাজার বস্তি/ বাঁশবাড়ি/ বেড়িবাঁধ)
এখানে কিছু ভিন্ন ভিন্ন পেশাজীবি শিশু/ মানুষের প্রোফাইল দিলাম (ব্লগে নয়) । ম্যাক্সিমাম মানুষ কাগজ/ প্লাষ্টিক/ পলিথিন/ হার্ডবোর্ড/ কাঠ/ লোহা লক্কর/ পুরনো কাপড় কুড়ায়/ কিছু মানুষ ব্যবসায়ী (জুট), কেউ শ্রমিক/নাইট গার্ড, আবার কেউ কেউ নেশার সামগ্রী (পেন্সিডিল/ পুরিয়া/ গাঞ্জা/ বাংলা মদ) বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের সকলের ঘর ভাড়া গড়ে ১৫০০ এর কাছাকাছি। মাসিক আয় ৩০০০ হাজার ছুই ছুই। এদের বেশির ভাগেরই কোন ভবিষ্যত নাই।
স্বপ্ন যা আছে তা সাদা-কালো। কেউ এই বস্তিরই কোন ছোট দোকানের মালিক হবার স্বপ্ন দেখে, কেউ গার্মেন্টস এর চাকরী... বাকীরা কিছুই বলতে পারেনি। তারা কেবল ভরা পেটের স্বপ্ন দেখে! বাইরের জীবন সম্বন্ধে এদের ধারনা নেই বললেই চলে। এখানকার বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে / কিশোর-কিশোরী গ্রাম দেখেনি। এখানেই জন্ম অধিকাংশ শিশু / কিশোরদের।
তাদের গ্রামে কেউ নেই, তাই গ্রাম দেখা হয়না এবং গ্রামে যাবার মত টানও তারা অনুভব করেনা। গ্রাম সম্বন্ধে ওদের ভেতরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এদের বিনোদন সিনেমা হল আর টিভির অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক। খোলা কোন জায়গা নাই, তাই রাস্তায় রাস্তায় এরা বিনোদন এর রসদ খুজে বেড়ায়। এদের চোখ বাজ পাখির মত তীক্ষ।
এরা পুলিশকে ঘৃনা করে। এনজিও গুলো নিয়ে এদের ভেতর মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আমাদের জরিপের সময় এরা আমাদের ঘিরে রেখেছিল সারাক্ষন। হাঁটা দিলে আবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছিল। বেশির ভাগ যুবক পুরুষ বেকার এবং নেশাখোর।
আমাদের কাছে খবর এসেছিল যে সন্ধ্যার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবিতে নেশার আড্ডা আর কিশোরী মেয়েদের দেহ কেনা বেচা হয়। সে লক্ষে আমরা টাইমিং সেট করেছিলাম। কিন্তু সেখানে আমরা এসবের কোন আলামত খুঁজে পেলাম না। কারণ খোঁজ করে দেখা গেল -আর.এ.বি- সেখানে অবস্থান নিয়ে আছে গত কিছুদিন ধরে।
(বিস্তারিত জানানো হবে- ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।