মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা
রাগ ইমন
রাগ ইমন আপনার কিছু বলার থাকলে বলে ফেলুন। অনেকের মুখোশ আছে যখন ঘোষনা দিয়েছেন, তখন সেই মুখোশ খুলবার দায়িত্ব ও আপনার।
টাংকি আর ইভটিজিং তফাৎ অনেক। তারপর যেহেতু আপনার বয়স আঠারোর উর্ধ্বে সেহেতু আপনাকে কেউ ইভটিজিং করলে সেটা অপরাধের পর্যায়ে পড়েনা। কিংবা অনৈতিকতার পর্যায়ে পড়ে বলে মনে হয় না।
কিন্তু আপনার ব্যক্তি অভিমত যদি হয় সেটা অনৈতিক তবে সেই ছেলে বা পুরুষকে বলে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। টাংকি শব্দটার অন্তর্গত মানে হচ্ছে কোন বিপরীত লিংগের প্রতি আকর্ষনের প্রকাশ। প্রকাশভঙ্গীর পার্থক্যে দিয়েই সেটার মান যাচাই করতে হবে। একটা ছেলে একটা মেয়েকে টাংকি মারা কিংবা একটা মেয়ে একটা ছেলেকে টাংকি মারলে সেটাকে আমি মানসিক এবং শারিরীক সুস্থতার পরিচয় বলেই মনে করি। আবারো বলছি প্রকাশভঙ্গীর মানের উপর সেটা নির্ভর করে , অনেকসময় এটা অসুস্থতাও হতে পারে।
" তখন শালার হেন ছেলে ব্লগার নাই ....................." এই কথাটা কেন বললেন বুঝলাম না। ব্লগের ছেলেগুষ্ঠীর ঝান্ডা ধরবার উদ্দশ্যে এই কথা বলছি না। কারণ আপনার এই কথাটা সস্তা পুরুষ নেতৃত্বাধীন নারীবাদের মত শোনালো। কেউ আপনাকে টাংকি মারলে তার সাথে কথা না বলুন; কিন্তু টাংকি গিলবেন, হজম করবেন এবং একদিন হঠাৎ করে সাত আসমান ফুঁড়ে বলে উঠবেন কেন যে সেভ করে রাখিনি , রাখলে এদের মুখোশ তাহলে খুলে দেওয়া যেত। এটার মানে কি।
তসলিমা নাসরীনের আত্মজীবনীতে হাসান(সম্ভবত) নামে একজনের সাথে লেখিকার সম্পর্কের কথা বলা আছে। হাসানের বউয়ের জন্য হাসান শাড়ী কিনে সেটা নিয়ে টীটকারি আছে। হাসানের সাথে শারিরীক কিম্বা মানসিক সম্পর্ক স্থাপনে লেখিকার অনাগ্রহ থাকলে উনি সম্পর্কে না জড়ালেই পারতেন। হাসান যদি জোরপূর্বক সম্পর্ক স্থাপন করতো তবে সেটার জন্য আইন, আইন-শালিশ কেন্দ্র এবং ব্যক্তি হিসেবে উনার পরিচিতিই যথেষ্ট ছিলো ফয়সালা করবার। কিন্তু উনি করেননি।
এখন বইয়ের পাতায় হাসান এবং হাসানের বউয়ের কথা তুলে এনেছেন। হাসানের বউ ভীষণ গেঁয়ো একটি সাধারণ মেয়ে বলে তাচ্ছিল্য করবার চেষ্টা করেছেন। এটা নিতান্তই লেখিকার বই বিক্রির একটা কৌশল। হয়তো হাসান নামে কেউ নেই , আর থাকলেও লেখিকা যেটা করেছেন সেটা হলো হাসানের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন সেটাকে বিক্রী করলেন। প্রশ্ন হচ্ছে সম্পর্ক ভাল না খারাপ, সেটা সম্পর্কের মধ্যেই যাচাই করতে হয়।
সম্পর্কের অর্ধযুগ বাদে হাসান মন্দ লোক এটা আবিষ্কার করা, নিজের অতীত অস্বীকারের সমান । মন্দ লোকের সাথে সম্পর্ক হতেই পারে, কিন্তু যখন সম্পর্ক করেছেন তখন তাকে মন্দ মনে হয়নি বলেই করেছেন। সুতরাং সম্পর্কের দায় দুজনেরই। ইন এ ফাইন মরনিং, দেড়শো পৃষ্ঠার বই দিয়ে নিজেকে হালাল করা, আরো বড় মন্দ লোকের কাজ। লেখিকা সেই আত্মজীবনি দিয়ে অনেকের মুখোশ খুলেছেন বলে দাবী করেছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মন্দ লোকদের মুখোশ তৎক্ষণাৎ খুললে উনার কি ক্ষতি হতো? কিংবা মন্দ লোকের সংস্রব ত্যাগ করলে উনার কি ক্ষতি হতো? সারা বছর নারী অধিকারের কথা বলে লেখিকা নিজে কিন্তু অধিকারের চর্চা করেননি, উনি যেটা করেছেন সেটা হলো এই লোকগুলোর বিরুদ্ধে নিজের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কালোরা বছরের পর বছর শোষণের শিকার। এখন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র সংখ্যা লঘু অধিকার আইন আছে।
এখন যেটা হয়েছে সেটা হলো, কালোরা এখন এই আইনের অসৎ সুবিধা নেওয়া শুরু করেছে। ফলে সাদারা তটস্থ কখন কোন অজুহাতে কেউ বলে উঠবে, " আমি মাইনরিটি তাই...... "
আপনি টাংকি মারার যে কথা বললেন সেটা " আমি নারী তাই........." এরকম শোনালো।
এটা ভার্চুয়াল জগৎ। এখানে অন্তত অধিকারের চর্চা করা যায় বলে মনে করি। কারও আচরণ খারাপ লাগলে সরাসরি বলা যায়, কিংবা তখনই সেই পুরুষের বা ছেলের আচরণ এর কথা ব্লগে বলা যায়, অন্য নারীদের সাবধান করা যায়। কিন্তু আপনি সেরকম কিছুই করলেন না সময়ে, এখন ব্লগে " মিথিলা রহস্যে"র জন্য আপনার দিকে আঙ্গুল উঠা মাত্র , আপনি তাবৎ ব্লগের সকল আঙ্গুলি আপনাকে এক সময় খোঁচাতে চেয়েছিল বলে দাবী করছেন। এ কাজ করে নারী অধিকারতো আপনি লুণ্ঠিত করলেনই, সেই সাথে অনাগরিক/অব্লগার সুলভ আচরণ করলেন।
সামহোয়ার ইনের একজন ব্লগার হিসেবে আপনার কাছ থেকে এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত মন্তব্য আশা করিনি। আশা করছি ব্লগের সব দুঃশ্চরিত্রের মুখোশ আপনি খুলে দিবেন, ব্লগের নারীকূল এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বার্থে। পুঞ্জীভূত ক্ষোভ শুধু হতাশা আনে, নতুন সূর্য আনে না।
ভাল থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।