আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি যা চাই তা হয়ত আমরাও তাই চাই।

সুখীমানুষ

আমজনতা'র ইংরেজী কী? ম্যাংগু পিপল না জেনালেল পিপল? পলিটিক্যাল পোষ্ট আমি সাধারণত দেই না। রাজনীতি ছাড়া রাজ্য চলে না। আবার রাজনীতি নিয়ে কথা বল্লে মুসিবতের উপর মুসিবত। দলে দলে টানাহেচড়া তো আছেই। এর উপর আছে ম্যাংগুপিপলের চোখ খোঁচ করা টেরা দৃষ্টি।

ভাবটা অনেকটা এমন, গেছে..এইটাও গোল্লায় গেছে। গোল পৃথিবীতে বেঁচেবর্তে আছে, এতে অন্যায় নাই। গোল্লায় গেলেই যত অন্যায়। ভিঞ্চি সাহেব শুধু মোনালিসাই আঁকেননি, জাহাজ যদি আকাশে উড়ে তাহলে তার নক্সা কেমন হবে তারও নক্সা করে গিয়েছিলেন। আমাদের আজকের উড়োজাহাজের নক্সা তাঁর কাছে ঋণী।

বাংলাদেশের পলিটিক্যাল অবস্থা মাস কয়েক পর কেমন হবে তার ভবিষ্যৎবাণী করতে হলে ভিঞ্চি হওয়ার দরকার নাই। মোড়ের চা দোকানদার নাছির মিয়াও খুব সহজ করে বলে দিচ্ছে, অবস্থাতো ভালা দেহি না। অবস্থা সত্যিই ভালা না। অনেক বেশী ভালা না। একদল ক্ষমতায় থাকবে, আর এক দল ক্ষমতায় আসবে।

বাংলাদেশে যদি দুইটা ক্ষমতা থাকতো তাহলে পাকা গৃহিণীর মত সমাধান দেওয়া যেত। নে বাবা মাথাটা তুই নে, লেজটা তুই নে। ব্যাস শান্তি। ষোল কোটি মানুষের শান্তি। মজার বিষয়টা হচ্ছে, কেউ সংবিধান নিয়ে ব্যাস্ত, কেউ দেশ নিয়ে ব্যাস্ত।

মানুষ নিয়ে কারো ব্যাস্ততা নাই। মিমাংসায় না গেলে নিশ্চিৎ হরতাল হবে, অবরোধ হবে। দুই দলের সোনর ছেলেদের পাশাপাশি কতগুলো ম্যাংগুপিপল মারা যাবে। যে ম্যাংগু'র রস দিয়ে এই গরীব দেশটা চলছে এই ম্যাংগুর দিকে কারো নজর নেই। সারেগামা'র জন্য গান তৈরী হয়নি, মনে স্বর্গীয় ছোঁয়া লগলে গানের সুর তৈরী হয়।

এই সুর যেন বেসুরো না হয়ে যায় অন্য গলায় গিয়ে তাই নিয়মে বেঁধে দিতেই সারেগামার প্রয়োজন। ঠিক তেমনি সংবিধানের জন্য মানুষ না। মানুষ যেন সুখে, শান্তিতে থাকে এই জন্য সংবিধান। আমি নগন্য মানে গনায় পড়ি না এমন মানুষ। আমার বুদ্ধিতে পলিটিক্স করলে উন্নতির সম্ভাবনা খুব বেশী থাকার কথা না।

কিন্তু অবনতির মুখে চলতে থাকাটা হয়ত কিছুটা হলেও আটকানো যাবে। দেশে অনেক অনেক পরিসংখ্যান করার মত কম্পানী আছে। তাঁদের কাছে দুই দলই গিয়ে সাহায্য নিতে পারে। দুই দলই দেখুক জনগন কী চায়। জনে জনেইতো জনগন হয়।

আমি সেই জনের একজন হিসাবে চাই, কোন সংঘাত যেন না হয়। দেশে রাজনৈতীক সোনার ছেলেমেয়ের চাইতে হাজারগুন বেশী হচ্ছে সোনা-ফলানো ছেলেমেয়ে। আর যারা নিরবে নিভৃতে সোনর ডিম দিয়ে যাচ্ছে দেশটার জন্য তারা গলাবাজিতে নাই, পথেঘাটে নাই। অথচ রাজনিতীর সোনার ছেলেমেয়েদের কারন সেই সোনার ডিমপাড়া ছেলেমেয়েগুলো লাশ হয়ে পড়ে থাকে রাজপথে। যে কেউ ক্ষমতায় আসুক, যে কেউ।

ম্যাংগুপিপলগুলো যেন রাজপথে মরে পড়ে না থাকে। গরীব হোক, সুখেইতো আছে এরা। যেন শান্তি ও স্বিস্তিতেও থাকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।