একজন মানুষ চলে যাওয়া মানে মহাবিশ্বে একটা শূণ্যস্থান হয়ে যাওয়া। ছোট্ট বা বড় কোন ছিদ্র, যার যার মাপ অনুযায়ী ফুটা। কাপড় কাটার সময় যেই মাপে তৈরি হবে তার আশে পাশে যেমন সন্তপর্নে কাঁচি ঘুরিয়ে কাটা হয়, ঈশ্বর তেমন করে মহাবিশ্বে একটা মাপ মতন ফুটা তৈরি করেন। দু'দিন আগে মহাবিশ্বে তৈরি হলো মিথিলা-মাপের-ফুটা।
আঠারো বছরের জ্বলজ্যান্ত মেয়েটা উধাও।
বুক ফেঁটে যাচ্ছে তার জানের। মিথিলা-মাপের-ফুটার কাছাকাছি মিথিলার জানের মত করে কেউ নেই।
ব্লগে এখন মিথিলা নামটার ছড়াছড়ি। কাউকে ভালো লাগলে প্রথম সুযোগেই তার সাথে কথা বলি। মিথিলার কয়েকটা ব্লগ পড়ার পরে ওর সাথে কথা বলার ইচ্ছা করার পরেও বলি নি।
আমার একটা বদভ্যাস আছে, লেকচার মারি। মাঝে মাঝে মনে হতো, যোগাযোগ করে আচ্ছা করে কষে বকা লাগাবো। ছোট্ট মেয়ে, এত মৃত্যুর কথা বলে কেন? পাকনামির এক শেষ! এই গায়ে পড়ে বকাবকি মেয়ের ভালো লাগবে কি না ভেবেই দেই নি। এখন হঠাৎ প্রস্থানে খুব চমকে গেলাম। থতমত খেয়ে গেলাম।
মেয়েটা যেন হঠাৎ বোকা বানিয়ে ফেলল আমাকে। মেয়েটার মৃত্যুর বাস্তবতা থেকে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ওকে নিয়ে লেখা একটা পোস্টেও কোন মন্তব্য করি নি।
এখন একজন দূরবর্তী দর্শক হয়ে দেখছি মিথিলা-মাপের-গহ্বর। শোক।
কষ্ট পাওয়া। অবিশ্বাস। বোকা হয়ে আমি এখন বুঝতে পারছি, কারো কারো 'থাকার' চেয়ে 'না থাকাটা' তীব্র ভাবে বুঝা যায়। মিথিলার 'না থাকাটা' টের পাচ্ছি। মিথিলা-মাপের-ফুটা আমাকে খুব অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।
চেয়ে চেয়ে দেখছি, মেয়েটা থাকতে ছুঁতে পারলাম না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।