মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা
রামপুরা রোডে অতিথি কমিউনিটি সেন্টারের কর্ণারে একটা ছোট দোকান আছে, পাশে একটা বাইকের গ্যারেজ। টিপু ভাইয়ের দোকান। আগে বড় আছিলো ব্যাবসা ঠিকমত চালাইতে পারে নাই তাই ছোট হইয়া গেছে। উলনের স্থায়ী বাসিন্দা, ওইখানে ওদের প্রচুর জায়গা, কিন্তু ওরা ভাই-বেরাদর একটাও পড়া লিখা করে নাই। ইমামউদ্দীন মাস্টারের পোলা।
মাস্টার প্রতিবার কমিশনার ইলেকশন করে আর হারে। টিপু ভাই করে নাই এমন কোনা ব্যাবসার নাম আমি শুনি নাই। ফোন-ফ্যাক্স, খাবার হোটেল থেকে শুরু করে, ভ্যারাইটী স্টোর সব করেছেন। আরেকটা বাজে অভ্যাস হইল উনার , সস্তায় কোন কিছু পাইলে কিনা ফেলবে, আগপাশ না ভেবে। একটা উদাহরণ দিইঃ
সে গেছে একবার বোনের শ্বশুরবাড়ী ফরিদপুর,গিয়া দেখলো তুলা বেজায় সস্তা, ঢাকায় নিয়া আসলে বেজায় লাভ হবে।
এর আগে উনি কোনো দিন তুলার ধারে কাছে যায় নাই। তুলা কিনে ফেললেন ৩/৫ মণ। ঢাকায় রওয়ানা দিলেন আসলো বৃষ্টি, আবার ব্যাক দুই দিন লেট। অনেক হুজ্জোতি করে সেই আধভেজা তুলো ঢাকায়
আনলেন। এ বলে আমার বালিশ বইসা গেছে, ওই বলে তোষক বানামু।
আখেরে তুলা দিয়া জনসেবা করলেন, আর তুলা আনতে যে মাজা ব্যাথা হইছিল সেটাতে কাৎ
১৫ দিন।
এই হইলো টিপু ভাই, খুব ভালো অমায়িক লোক। একসময় এলাকার বড়ভাই ছিলেন এখন ভাল লোক। উনার ঐখানে ঐ এলাকার সমস্ত বেকারের আড্ডা। কয়েকজন পোলা একত্র হইলেই উনি ডাক দেন,
'' ঐ দুই টাকার চা দে তিন কাপ ''।
একদিন দেখি ছোট ভাইরে ঝাড়ি দিতাছে, '' পড়ালেখা করস না, তুই হালায় ইমামউদ্দীন মাস্টারের নাম ডুবাবি''
আমি বললাম '' টিপু ভাই আপনার বাপ এইরকম নামজাদা টিচার, আর আপনারা কেউ পড়লেন না কেন, আপনার বাপ কিছু কয় নাই আপনাগো ''
উনি বললো , '' আরে হালায় বাপের দোষ নাই, ওই হালায় আমাগোরে উইলসে দিছিলো , আমরা আছিলাম জাউরা, হের লাইগা এই অবস্থা''। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।