অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি
আমার ঘড়িটা খুব ফাস্ট চলে। বুঝে ওঠার আগেই ঘণ্টা পার। দিন-মাস-বছর। তাড়িয়ে তাড়িয়ে চুক-চুক উপভোগ করা গেল না ২০০৬। ধুমধারাক্কা ঘটনাপ্রবাহ।
উত্থান এবং পতন, তুমুল হর্ষের হাত ধরে তীব্র বিষাদ। সালতামামিতে না যাই। ভালো-মন্দ যেমন কাটুক, আই এনজয়ড এভরি বিট অব ইট।
ভার্চুয়াল জগতে আনাগোনা ছিল। ঠাঁই গেড়ে বসার ব্যাপারটা ছিল না।
এরপর নিজেরই জগত গড়া। কি আশ্চর্য্য! সামহোয়ার ইন ব্লগের গন্ডী পেরিয়ে, ম্যাসেঞ্জারে রোমান-বাংলা ইংরেজি বলা মানুষগুলো সত্যি সত্যি ধরাছোঁয়ায় চলে এল! শুভ, কৌশিক, শরৎ, কালপুরুষকে দিয়ে শুরু। হিমু, আবু মুস্তাফিজ, চোরাবালি, সুনীল সমুদ্র, জামাল ভাস্কর, মৌসুম। একে একে অনেকেই। এমনকি সীমানা পেরিয়ে উড়ে আসা আড্ডাবাজ, রাসেল, অরূপ, সুমনদের সঙ্গে স্পর্শের ব্যবধান ঘুচে যায়।
অবাক হয়ে দেখি মুখফোঁড় মিটিমিটি হাসে, কথা কয়। উৎসুক অপেক্ষায় আছি শোমচৌ, উৎস, ধুসর, সুমন, হযবরল, চোর ও হাসান মোরশেদদের।
এবং জন্মযুদ্ধ হয়ে যায়। আলোকিত একেকজন মানুষ আমার চেয়েও ক্ষুরধার চেতনায় নির্মাণ করে যায় আমাদের শেকড়ের আদ্যোপন্তের শোকগাঁথা।
ঘৃণায়-ভালোবাসায়, প্রেমে-মৈথুনে অবিরাম পথচলা এই ৩৬৫ আমাকে ঠেলে দিয়েছে আয়ুর শেষ সেমিস্টারে।
সামনে এক জোর লড়াই। এক যোদ্ধার ছেলে তার বাবার হারানো রাজ্য রাক্ষসের হাত থেকে উদ্ধার করার পণ নিয়েছে। ঠাকুরমার ঝুলি? না, না। বাস্তবের রূপকথা। দৈত্য খেয়ে নিলে, ঝাণ্ডা ওঠাতে তৈরি আরো হাজারো হাত।
২০০৬ আমাকে ধন্য করে দিয়েছে সবঅর্থে। ২০০৭ কাটুক আরো তীব্রতায়। ঝঞ্ছায় এবং ভালোবাসায়। যুদ্ধে এবং জয়ে।
এসো আবার চড়াই উৎরোই, আরো একটু দূরে যেতে হবে।
কতটা পথ এসেছি বাধা ঠেলে, বাকিটা পথ আর কিছু নয় তবে। ।
নতুন বছর শুভ হোক। আনন্দদায়ী প্রতিটি ক্ষণ শুভ হোক। ঈদ শুভ হোক।
শুভেচ্ছা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।