বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..
আমি নিজে রাজনীতি নিরপেক্ষ লোকনা। শুধুমাত্র রাজনীতিবিদদের গালাগালি করে নিজের দ্্বায়িত্ব শেষ মনে করিনা। যেহেতু আমাদের সকল সমস্যার গোড়া রাজনীতির সমস্যা সেহেতু রাজনীতি ঠিক হওয়া প্রয়োজন মনে করি এবং বিশ্বাস করি রাজনৈতিক ভাবেই রাজনীতি শুদ্ধ হবে; অন্যকোনভাবে নয়।
ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। আমাদের আরেকটি বিজয় 90 এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন।
সে বিজয়কেও আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের সাথেই তুলনা করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম যখন এরশাদের জাতীয় পার্টি বিএনপি-জামাতের চারদলীয় জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাকে ওখানেই মানায়। হয়তো বা বিএনপি-জামাতের দু:শাসনে আবারো পড়তে হতো আমাদের। আমার মনে হয় তাতে খুব একটা ক্ষতি হতোনা।
রাজনীতির শুদ্ধ-অশুদ্ধ একটু হলেও আলাদা করা যেতো। সে গুড়ে বালি! ঘটনার ঘনঘটা এখন আমাদের সামনে হাজির করছে ভিন্ন এক দৃশ্য। 14 দলীয় জোটে শরীক হচ্ছেন এরশাদ! গঠিত হচ্ছে মহাজোট। গতকাল একমঞ্চেই হয়ে গেল তার ড্রেস রিহার্সেল।
এরশাদ এবং তাকে নিয়ে রাজনীতির কুটকাচালী এর আগে এত বেশী আলোচিত হয়েছে যে এটা বলাটাই চর্বিত চর্বন মনে হয়।
কিন্তু এ নাটকের যেন কোন শেষ নেই। দুই প্রধান দলের নেত্রী 90 এ ওয়াদা করেছেন। ওয়াদা ভেংেগছেন। পরে আবার কানে ধরেছেন। আবার ভুলে গেছেন।
বিএনপির কাছে ইতিবাচক কিছু আশা করা মূর্খামি। আশায় বুক বাঁধে মানুষ বারবার আওয়ামীলীগের কাছেই। যতই খারাপ হোক বঙ্গবন্ধুর পার্টি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এইযে, তারা নিজেরাও বিএনপি হতে চায়। এবং বারবার সেটারই প্রমান দেয়।
ভোটের রাজনীতির হিসেবে এদেশের বামপন্থীরা একেবারেই গুরুত্বহীন হলেও আন্দোলনের হিসেবে তা নয়। আওয়ামী লীগকে তার জায়গা থেকে দেখেই বামপন্থীদের নিজস্ব অবস্থান গড়ে তোলা জরুরী ছিলো। প্রয়োজনে বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যোগ দিয়ে বাম মোর্চা কেই অগ্রসর করা দরকার ছিলো। কিন্তু দেখা গেল একমাত্র কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়া আর কোন পার্টিই এ বিষয়ের গুরুত্ব বুঝতে পারলোনা। একসাথে আন্দোলন করার জন্য 14 দল করার দরকার ছিলোনা।
14 দল হওয়ার আগেও যুগপৎভাবে আন্দোলন হচ্ছিল। যাহোক, ফলাফল হচ্ছে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুরা এরশাদের সাথে একই মঞ্চে দাড়ালেন। বাম রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা আরো কয়েক ধাপ পড়ে গেল।
রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ক্ষমতা। সেটা আমি মানি।
ক্ষমতার প্রশ্ন ছাড়া রাজনীতি হয়না। কিন্তু ঐ ক্ষমতাটা রাজনীতির জন্যই। পুরো রাজনীতি ক্ষমতার জন্য নয়। তাহলে সেটা রাজনীতি থাকেনা। জুয়াখেলা হয়ে যায়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে আক্ষরিক অর্থেই জুয়া কিন্তু অনেকদিন থেকেই চলছে। অন্যদের মনে পড়বে, আনসীন, ব্লাইন্ড খেলা ইত্যাদি জুয়ার টার্ম ইদানিং রাজনীতিবিদরা হরহামেশা ব্যবহার করেন। একটাই কারন। ক্ষমতা। শেষ পর্যন্ত ঐ ক্ষমতাই!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।