আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ লাশ আমরা রাখবো কোথায় ?

লেখক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জাতিকে মেধাহীন করা, কতর্ৃত্বকে প্রশ্ন করার ক্ষমতা বিলোপ করা, নিজের পায়ে দাড়ানোর সকল প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেওয়াই বুদ্ধিজীবি হত্যার মোটিভ । 1971 সালের 14 ডিসেম্বর যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের মূল অপরাধ ছিল তাদের যোগ্যতা । কারেনসি নোট জ্বালিয়ে যতটা ক্ষতি নবজাত রাষ্ট্রের হয়েছে তার শতকোটিগুণ হয়েছে বুদ্ধিজীবি হত্যায় । প্যলেস্টাইন যুদ্ধে সাইয়েদ কুতুবের চ্যালাদের চাইতে অনেক বেশী বর্বর ভূমিকায় ব্যবহৃত হয়েছে মওদুদীর চ্যালারা । আল-বদরের মাদারচোতরা কোন আদর্শে বিশ্বাস করতেন, তা ইসলামী কি না কিংবা ইহুদী-নাসারাদের শিক্ষাপ্রাপ্ত বেদাতী বুদ্ধিজীবিদের ক্ষতম করে সেখানে ঐশীজ্ঞান প্রাপ্ত ওয়াসওয়াসিল খান্নাসদের স্থান করে দিয়ে ইসলামী বিপ্লবের ভিত্তি নিমর্াণ করা যায় কি যায় না এই বালের আলাপ সম্পূর্ণ অবান্তর ।

কারণ এগুলি সংগঠিত ভাড়াটে খুনীদের যুক্তি । বুদ্ধিজীবি হত্যা প্রসঙ্গে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিকের অবস্থান হতে হবে শহীদুল্লাহ কায়সারের পক্ষে এবং ঠ্যাটা মালেইক্যা-নিজামীদের বিপক্ষে । রমজানরাই ক্ষমতায় আসছে ঘুরে ফিরে । তাই আল বাঁদররা কলা খাচ্ছে লেজ নেড়ে । রমজানদের খতম করতে হলে অবস্থান নিতে হবে জিসিদেব-শহীদুল্লাহ কায়সার-ফজলে রাব্বীদের পক্ষে ।

শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস তাই স্মরণে রাখতেই হবে । বুদ্ধিজীবি দিবসের চেতনা আক্ষরিক অর্থে বুদ্ধিজীবিদের পক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ । আসুন যারা বুদ্ধিজীবিদের বিপরীতে প্যারালেল ঐশী ইনসটিটিউশানের যুক্তি চোদায় তাদের হত্যা করতে না পারলেও অন্তত মুখের মধ্যে মুতি ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।