ফাজলামৗ ও বিটলামি, খোঁচা এবং গুতা,
কত্তোদিন এই ভাবে ডাকি না আমি! আগে কত ডাকতাম। খালি আমি না, আমার মতো অনেকেই ডাকতো বা ডাকতেন। বহুধলা-কালা-বাদামী অবাক হইয়া দেখতো আমাদের সবার এই গণ বেবীকে যা কিনা ছিল আমাদের অনেকের ই প্রধান বাহন। বুঝতেই পারছেন, বাইচ্চা না সি.এন.জি'র আগের ভার্সন, পরিবেশ দূষণকারী টু-স্ট্রোক হলুদ-কালো সে----ই বেবীর কথা বলছি।
কত কম ভাড়া ছিল, না পরিবেশ আর অর্থনীতি কপচক অনেকেই আছেন, আমি শুধু আমার পুরানা ইয়াদে বলছি।
পুরা 100 টাকায় তো ঢাকা ই ঘুইরে ফেলতাম, জ্যাম থাকলেও জেলীর মত মসৃণ ভ্রমন! আহ, কন্ট্যাক্ট, দরকষা অদ্ভুত নস্টালজিয়া।
বিদেশিরা অবাক! বেবী বলে ডাকে আর আসে একটা তিন চাককার অটো! কি দেশ রে বাবা! বান্দর ফরেনার রা আবার ডাকতো বেইব, যেন হ্যাগো জান!
এইরকম অনেক নস্টালজিক স্মৃতি আছে আমার। আপনাদের ও হয়তো। তবে শেষ একটা ঘটনা বলিঃ
তখন কা্লশ নাইনে। পাঙ্খা গজাইছে ভু ব্যাপারে, তবে প্রেম টা হয় নাই।
বলতে শরম নাই, তখন কেমন জানি লজ্জা লজ্জা লাগত! তবে কিছ মেয়ে বন্ধু ছিল কলোনী তে থাকা আর কোচিং এ পড়ার সাইড ইফেক্ট বা বাই প্রোডাক্ট হিসাবে(দয়া কইরা এইটা পুরুষবাদি মঙ্কব্য ধইরেন না, এইডা উভয়ার্থে)। সেরকমই এক ঘনিষ্ঠের সাথে ফিরছিলাম কলাবাগান থেকে আরিফের (একাডেমী) কাছে পড়া শেষ করে। তখন মাত্র হাসিনা আপা রিকশা মেইন রোড থেকে উঠায় দিছিলেন। অগত্যা হন্টন! বিশাল বপু আমি আর কতই বা হাটব! বল্লামঃ চল কাণি, একটা বেবী নেই। কাণি মানে কণার ও লাজুক আগ্রহী জবাবঃ চলো না গো একটা বেবী নেই!(ক্লোজআপহাসি)
হায় কণা...সেইদিন ও আমরা হেটে আর রিকশায় ফিরছিলাম।
বেবী (উভয়ার্থে) আর আমাদের নেয়া হৈলো না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।