আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা এবং বৃদ্ধাশ্রম!



মা অতি চমৎকার মধুর একটি শব্দ। যে শব্দ শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে একটি অতি সাধারন অথচ নিঃস্বার্থ ভীষন মায়াবী একটি মুখের প্রতিচ্ছবি। যে মুখটা দিনমান সন্তানের প্রতি অপার ভালোবাসা আর তাকে ঘীরে নিমগ্ন চিন্তায় মগ্ন থাকে। যিনি সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর থাকেন। আর তিনি হলেন মা।

যিনি আমাদের অপরুপ মায়াময় বসুন্দরার রস স্বাধ উপভোগ করার জন্য নয় নয়টি মাস কঠিন কষ্ট সাধনা করে তার ভীতরের আপন সত্বায় আমাদের কে পরম মমতায় লালন করে থাকেন। যার কোনো চাওয়া নেই। যার কোনো কালে সন্তানের কাছে কোনো চাওয়া থাকেনা। কি নিঃস্বার্থের প্রতিচ্ছবিই না তিনি। যখনই আমরা কষ্ট ,দুঃখ, বেদনা পাই তখন তার ঘর্মাক্ত শাড়ীর আচলে খুজে পাই অরুপ শান্তির ছায়া নিকেতন।

নিবিষ্টে চিত্তে মাথা রাখি তার বুকে। তার কাছে গেলে সুখের অথৈ বারিধারা প্রবাহিত হয়ে প্রশান্তি স্রোত বয়ে যায় হৃদয় গহিনে। এমন সুখ আর কার কাছে পাওয়া যায়? এমন ভালোবাসা আর কার কাছে মিলে?। ভোর বেলা তার পায়ের মেঠো পদশব্দ ও কোমল মধুর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে যাপিত জীবনের দিনের কাজ শুরু হয়। আমার মা আমার পৃথিবী।

আমার সুখ দুঃখের নিত্য সঙ্গি। মাকে ছাড়া আমার একটা দিন ভাবতে পারিনা। তাই মায়ের জন্য আলাদা কোনো দিবসের প্রয়োজন হয়না। মায়ের জন্য ভালোবাসা যুগ থেকে যুগান্তর বহমান। পৃথিবির সব ভালোবাসা একদিন নিঃশেষ হতে পারে,কিন্তু সন্তানের প্রতি মায়ের নিখাদ নিঃস্বার্থ ভালোবাসা নিঃশেষ হবার নয়।

মায়ের প্রতি ছেলের। কিন্তু আধুনিক আর সভ্য সমাজের দাবিদার বর্তমান সমাজ ব্যব¯থা সন্তান-মা’ কে দুরে টেলে দেবার নতুন এক ঘৃণ্য ব্যবস্থা চালু করেছে। যে ব্যবস্থা মায়ের আদুরের সেই খোকা থেকে দুরে অনেক দুরে টেলে দেয়। আর তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে সেই মায়ের আদুরে খোকা যার ভালোবাসা আর প্রশান্তির নিকেতন ছিলো তার মা। আর সে ঘৃন্য ব্যবস্থার আধুনিক সংস্করন বৃদ্ধাশ্রম! যা মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা আলগা করে।

মায়ের আচঁল থেকে সন্তান দুরে সরে যায়। মাকে আবর্জনা ভাবতো শুরু করে! মাকে দুরে ফেলে দিয়ে স্ত্রী সন্তান কে নিয়ে সুখের স্বপ্ন বুনে। কিন্তু সে সুখ কি আদৌ পাবে!। না পাবেনা! কারন বাধঁন ছিন্ন করে কেউ সুখি হতে পারেনা। আর সে ঘৃন্য ব্যবস্থা আজ কাল আমাদের দেশের সংস্কৃতি হয়ে দাড়িয়েছে।

দেশের আনাছে কানাছে তার প্রসার প্রচার দ্রুতহারে সংক্রমন ঘটছে। যা দেখে আমার হৃদয় ব্যথায় কেদেঁ উঠে। বুকের ভীতর সে সন্তানের প্রতি ঘৃনায় আর ধিক্কার পাহার জমে। অথচ এ মা তার সুখ স্বাধ আহ্লাদ সমস্ত কিছু বির্সজন দিয়ে আমাদের কে লালন করেন। আজ সে মাকে যখন আমরা বদ্ধশ্রমে ফেলে দিয়ে আসি।

তিনি হযতো সন্তান সুখি হবে ভেবে সব কিছু নির্দ্ধিধায় মেনে নেন। কিন্তু তার নীরব চোখের অশ্র“ জল আমরা দেখিনা। অনুভব করিনা তার শূণ্য বুকের অথৈ হাহাকার । এখন না দেখলে ও সে চোখের জল যে তোমার আমার চোখ থেকে অদুরে ঝরবেনা তার বা নিশ্চয়তা কি? না কোনো নিশ্চয়তা নেই। কাল আমার সন্তান আমাকে রেখে আসতে পারে বৃদ্ধাশ্রমে।

তাই আসুন আমাদের অঙ্গিকার হউক বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আর কোনো মায়ের নিভৃত চোখের জল ফেলতে দিবোনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।