বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
সুত্র ঃ যুগান্তর
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ভিসার (আইভি) প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটিতে (ডিএইচএস) আবেদন করার মধ্য দিয়ে। আইভির আবেদনগুলো করা হয় চাকরি বা পারিবারিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে। 'ডিএইচএস' কোন আবেদন অনুমোদন করলে সংশ্লিষ্ট ফাইলটি পাঠিয়ে দেয়া হয় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ভিসা ইসু্য করার জন্য। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস অভিবাসন ভিসায় যে আবেদনগুলো পায় তার প্রায় 70 শতাংশ হল পরিবারের সদস্যদের জন্য।
অনুগ্রহ করে লক্ষ্য করবেন, আবেদনের অনুমোদন আবেদনকারীর ভিসা প্রাপ্তির গ্যারান্টি নয়। আইভি ভিসা সম্পর্কে যেসব প্রশ্ন করা হয়ে থাকে তা হল : যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আমার ভাই 10 বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আমার অভিবাসনের জন্য আবেদন করে। মাত্র এ বছর আমাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। আমাকে বলা হয়েছে, আমার বয়স্ক ছেলেমেয়েরা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না। আমি বুঝতে পারছি না কেন তারা তা করতে পারবে না।
আমাদের যদি ভিসা দেয়া হয়, তাহলে আমাদের বয়স্ক ছেলেমেয়েদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের দ্রুততম উপায় কি?
এ প্রশ্নের উত্তর হল_ আপনার বয়স্ক ছেলেমেয়েরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন অনুসারে 'শিশু' বিষয়ক সংজ্ঞার মধ্যে না পড়ে তাহলে তারা ভিসার জন্য যোগ্য হবে না। যখন কোন সন-ান বিয়ে করে তখন সে আর শিশু হিসেবে বিবেচিত হয় না। 'শিশু' সংজ্ঞার আওতার মধ্যে পড়তে হলে অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের বয়স অবশ্যই 21 বছরের কম হতে হবে। তবে আপনার কোন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ের বয়স যদি 21 বছরের বেশি হয়ে থাকে, কিন' আবেদন করার সময় কম ছিল, তাহলে সে এখনও যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সাক্ষাৎকারের সময় আপনার সন-ানের যোগ্যতা সম্পর্কে কনসু্যলার অফিসারের কাছ থেকে জেনে নিন।
প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশ হল আপনার বয়স্ক ছেলেমেয়েদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সম্পর্কিত। দুটি উপায়ে আপনার পরিবার আপনাদের বয়স্ক ছেলেমেয়েদের জন্য আবেদন করতে পারে। একজন পিতা-মাতা লিগ্যাল রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস (গ্রিন কার্ড) পাওয়ার পর তিনি তার অবিবাহিত বয়স্ক ছেলেমেয়েদের অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়েছেন, এমন পিতা-মাতাই বিবাহিত ছেলেমেয়েদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, আপনার কম বয়স্ক ছেলেমেয়েরা যারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়েছে, তারা 21 বছর বা ততোধিক বয়স হওয়ার পর তাদের বয়োজ্যেষ্ঠ ভাইবোনদের জন্য আবেদন করতে পারবে।
এসব পদক্ষেপ কার্যকর হতে বহু বছর লেগে যেতে পারে। আপনার পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্রিন কার্ড পেতে এক বা দুই বছর লেগে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে পাঁচ বা ততোধিক বছর লেগে যেতে পারে। গ্রিন কার্ড বা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর কোন ব্যক্তি ডিএইচএসে আবেদন করতে পারেন। এ আবেদন অনুমোদিত হতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
এরপর ভিসা পেতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। সাধারণভাবে বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের আবেদনের প্রক্রিয়া গ্রিন কার্ডধারীদের আবেদনের চেয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। দ্বিতীয়ত, ছেলেমেয়েদের জন্য তাদের পিতা-মাতার আবেদন ভাইবোনের আবেদনের চেয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়।
ভিসার এসব নিয়ম-কানুন এড়ানোর উদ্দেশ্যে কিছু আবেদনকারী তাদের ছেলেমেয়েদের সত্যিকারের বয়স কমিয়ে ভুয়া বা পরিবর্তিত দলিলপত্র দাখিল করে থাকে। আপনি যদি আপনার ছেলেমেয়েদের বয়স সম্পর্কে ভুয়া বা পরিবর্তিত দলিলপত্র দাখিল করে থাকেন বা তাদের বয়স সম্পর্কে মিথ্যা বলে থাকেন, তাহলে আপনার পুরো পরিবারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হতে পারে।
বিয়ে সম্পর্কে সত্য গোপন করা বা অন্যের ছেলেমেয়েকে নিজের বলে দাবি করার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
দূতাবাস ভিসার সাক্ষাৎকারের সময় আবেদনকারীর দাবিগুলো সম্পর্কে জোরাল অনুসন্ধান করে থাকে এবং সহজেই কোন কেসের সত্যতা নিরূপণ করতে পারে। দূতাবাসের বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার ব্যবস্থা আবেদনকারীর পরিবেশিত সব তথ্য, এমনকি বহু বছর আগে সাক্ষাৎকারের সময় প্রদত্ত তথ্য অথবা ভিসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন তথ্যও সন্ধান করে থাকে। ভুয়া দলিল বা মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কেউ ভিসা পেয়ে থাকলে সে ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে থাকলে তা বাতিল করা হতে পারে। কেউ জালিয়াতি করে গ্রিন কার্ড বা নাগরিকত্ব পেয়ে থাকলে, সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস করলেও তা বাতিল করা হতে পারে।
বড় কথা হল, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে সততা অবলম্বনই হল সর্বোত্তম পন্থা।
অভিবাসন ভিসা সম্পর্কে আরো তথ্য জানার জন্য নিম্নলিখিত ওয়েবসাইট দেখুন :htp://www.unitedstatesvisas.gov/ permanently.html
অভিবাসনের আবেদন সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য দেখুন :htp://www.u.s.cis.gov/ graphics/services/factsheet/index.htm
ইমিগ্রেশন ভিসা সম্পর্কে কোন প্রশ্নের জন্য
এলিজাবেথ পি. গোরলে : চিফ, কনসু্যলার সেকশন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, ঢাকা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।